বিশ্বে করোনায় ২০ লাখের বেশি শনাক্ত
বিশ্বে এক দিনের ব্যবধানে নভেল করোনাভাইরাসে নতুন করে ২০ লাখের বেশি শনাক্ত হয়েছে ও প্রায় সাড়ে ছয় হাজার মৃত্যুবরণ করেছে। একই সময়ে সুস্থতা ফিরে পেয়েছে আরও ১৪ লাখ পাঁচ হাজার ১৮৭ জন।
আজ শুক্রবার সকাল ৯টায় বিশ্বজুড়ে করোনাভাইরাস শনাক্ত, মৃত্যু ও সুস্থতার হিসাব রাখা ওয়েবসাইট ওয়ার্ল্ডোমিটারর্স থেকে এ তথ্য জানা যায়।
এর আগের দিন বৃহস্পতিবার এক দিনের ব্যবধানে ২৩ লাখ ৯০ হাজার ৮৯৭ জন শনাক্ত, সাত হাজার ৫১১ জনের মৃত্যু ও ১৫ লাখ ১৭ হাজার ৮৫৭ জন সুস্থ হয়েছিলেন। সে হিসেবে শনাক্ত ও মৃত্যু কমেছে আজ। যদিও শনাক্তের সংখ্যার দিক দিয়ে গত বুধবারের তুলনায় এ সংখ্যা অনেক বেশি। সেদিন (বুধবার) করোনায় ১৮ লাখ ২৫ হাজার ২৭২ জন শনাক্ত হয়।
এর আগের দিন গত মঙ্গলবার করোনায় মারা যায় তিন হাজার ৯০৬ জন। একই সময়ে শনাক্ত হয় ১১ লাখ ৪৩ হাজার ১৪৮ জন। এর আগের ২৪ ঘণ্টার (সোমবার) তুলনায় এদিন শনাক্ত কমেছিল প্রায় দুই লাখ। আর মৃত্যু বেড়েছিল প্রায় চারশো।
আজ শুক্রবার ওয়ার্ল্ডোমিটারস বলছে, শেষ ২৪ ঘণ্টায় মোট শনাক্ত ২০ লাখ ১১ হাজার ৬৩৬, মৃত্যু ছয় হাজার ৪৯৭ এবং সুস্থতার সংখ্যা ১৪ লাখ পাঁচ হাজার ১৮৭।
এ সময়ে সবচেয়ে বেশি শনাক্ত ও মৃত্যু দেখেছে দক্ষিণ কোরিয়া। মৃত্যুর দিক দিয়ে এর পরেই রয়েছে মেক্সিকো, থাইল্যান্ড, অস্ট্রেলিয়া।
শনাক্তের দিক দিয়ে দক্ষিণ কোরিয়ান পরই রয়েছে অস্ট্রেলিয়া, থাইল্যান্ড ও নিউজিল্যান্ডের নাম।
দক্ষিণ কোরিয়ায় এ পর্যন্ত মোট শনাক্ত হয়েছে ৪৬ লাখ ৫৭ হাজার ৬০৯ জন। এর মধ্যে গত ২৪ ঘণ্টায় শনাক্ত হয়েছে চার লাখ সাত হাজার ১৭ জন। এ ছাড়া অস্ট্রেলিয়ায় ৪৪ হাজার ৩৭৬ জন, থাইল্যান্ডে ২৭ হাজার ৭১ জন শনাক্ত হয়েছে।
বিশ্বে আজ শুক্রবার সকাল ৯টা পর্যন্ত মোট শনাক্ত ৪৬ কোটি ৬৪ লাখ ৭২ হাজার ১৫৯, মৃত্যু ৬০ লাখ ৮৭ হাজার ৮৯৯ এবং সুস্থতার সংখ্যা ৩৯ কোটি ৭৮ লাখ ৭৯ হাজার ৫৫ জন।
২০১৯ সালের ডিসেম্বরে চীনের উহানে প্রথম করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয়। এরপর ২০২০ সালের ১১ মার্চ বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) করোনাকে ‘বৈশ্বিক মহামারি’ হিসেবে ঘোষণা করে। এর আগে একই বছরের ২০ জানুয়ারি বিশ্বজুড়ে জরুরি পরিস্থিতি ঘোষণা করে সংস্থাটি।