বেলারুশে বিরোধী নেতার ১৫ বছরের কারাদণ্ড
বেলারুশের নির্বাসিত বিরোধী নেতা সভিয়াতলানা সিখানৌস্কায়াকে ১৫ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। গতকাল সোমবার (৬ মার্চ) রাষ্ট্রদ্রোহ এবং ক্ষমতা দখলের ষড়যন্ত্রের অভিযোগে দোষী সাব্যস্ত করে তাঁর অনুপস্থিতিতে মিনস্কের একটি আদালত এ রায় দেন। তবে, গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করতে প্রচেষ্টা চালানোয় এই সাজা দেওয়া হয়েছে বলে দাবি করেছেন তিনি।
আজ মঙ্গলবার (৭ মার্চ) সংবাদমাধ্যম আলজাজিরার প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।
৪০ বছর বয়সী এই নেতা প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ক্ষমতাসীন আলেকজান্ডার লুকাশেঙ্কোর কাছে পরাজিত হয়ে ২০২০ সালে প্রতিবেশী লিথুয়ানিয়ায় চলে যান। ওই সময়ে সভিয়াতলানা সিখানৌস্কায়া এবং বিরোধীরা বলেছিলেন, নির্বাচনে লুকাশেঙ্কোকে বিজয়ী করতে ফলাফল কারচুপি করা হয়েছিল। এরপর দেশটিতে ব্যাপক বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়েছিল।
এরপর রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের মিত্র লুকাশেঙ্কো বিক্ষোভকারীদের ওপর দমনপীড়ন চালান এবং বিরোধীদের বিরুদ্ধে সরকার উৎখাতের ষড়যন্ত্রের অভিযোগে বহু নেতাকর্মী গ্রেপ্তার করেন। এ সময় অনেকে দেশ ছেড়ে পালিয়ে যান। লুকাশেঙ্কো প্রায় ৩০ বছর ধরে বেলারুশের ক্ষমতায় রয়েছেন। গণবিক্ষোভের সময় তার সরকার ৩৫ হাজারের বেশি মানুষকে আটক করে।
দেশটিতে গত জানুয়ারিতে অসাংবিধানিক উপায়ে ক্ষমতা দখলের চেষ্টার অভিযোগে বিরোধী নেত্রী সিখানৌস্কায়া এবং অন্যান্য বিরোধী নেতাদের বিরুদ্ধে বিচার শুরু হয়।
বেলারুশের বার্তা সংস্থা বেল্টা জানায়, একই অভিযোগে দোষী সাব্যস্ত হওয়ায় বেলারুশিয়ান বিরোধী কাউন্সিলের অন্যতম সদস্য পাভেল লাতুশকোকে ১৮ বছরের এবং আরও তিন বিরোধী কর্মীকে ১২ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। ২০২০ সালের আগস্টে বিক্ষোভ শুরু হওয়ার পরে তারা সবাই দেশত্যাগ করেন।
এদিকে, সিখানৌস্কায়া টুইটারে লেখেন, ‘১৫ বছরের জেল। এভাবেই বেলারুশে গণতান্ত্রিক পরিবর্তন আনার কাজের জন্য সরকার আমাকে পুরস্কৃত করেছে।’
সিখানৌস্কায়া আরও লেখেন, ‘আজ আমি নিজেকে নিয়ে ভাবি না। আমি হাজার হাজার নিরপরাধ মানুষের কথা ভাবি, যারা আটক হয়েছেন কিংবা কারাদণ্ড পেয়েছেন। তাদের প্রত্যেকের মুক্তি না হওয়া পর্যন্ত আমি থামব না।’