বৈঠকে বাইডেন ও শি জিনপিং, আলোচনায় যেসব ইস্যু
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ও চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের মধ্যকার ভার্চুয়াল বৈঠক শুরু হয়েছে। শুরুতে উভয় পক্ষ আলোচনার বিষয়বস্তু তুলে ধরেন। বিবিসির প্রতিবেদনে এ কথা জানানো হয়েছে।
শি জিনপিং শুরুতেই বলেছেন, চীন-যুক্তরাষ্ট্রের সম্পর্কের ইতিবাচক অগ্রগতি চায় চীন।
অন্যদিকে, জো বাইডেন মানবাধিকার ও ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলের পরিস্থিতি নিয়ে কথা শুরু করেন।
এ বছরের জানুয়ারিতে বাইডেনের অভিষেকের পর থেকে এ পর্যন্ত তিনবার কথা হয়েছে শি জিনপিংয়ের সঙ্গে। আজকের বৈঠক কয়েক ঘণ্টা চলতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
বৈঠকে শি বলেছেন, “উভয় দেশেরই একে অপরকে শ্রদ্ধা করাটা অত্যন্ত জরুরি এবং একটা ‘ধারাবাহিক সম্পর্ক’ প্রয়োজন।” তিনি আরও বলেছেন, ‘জলবায়ু পরিবর্তন ও কোভিড-১৯-এর মতো বৈশ্বিক চ্যালেঞ্জগুলো মোকাবিলা করতে চীন-যুক্তরাষ্ট্র সুস্থ সম্পর্ক জরুরি। মানবজাতি বৈশ্বিক একটা গ্রামে বসবাস করে। এজন্য আমরা যৌথভাবে বহুমুখী সমস্যার সম্মুখীন হই।’ চীনের রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যমে এমনটি জানানো হয়েছে।
‘পুরনো বন্ধু’ বাইডেনকে দেখতে পেয়ে তিনি খুশি বলে জানিয়েছেন চীনের প্রেসিডেন্ট। যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের মধ্যে যোগাযোগ বাড়ানো উচিত বলেও উল্লেখ করেন তিনি।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট বলেন, ‘আমার হয়তো আনুষ্ঠানিক পদ্ধতিতে আলোচনা শুরু করা উচিত, যদিও আপনি এবং আমি একে অপরের সঙ্গে কখনোই আনুষ্ঠানিক ছিলাম না। অত্যন্ত সততা ও স্বতস্ফূর্তভাবে আমাদের দুজনের যোগাযোগ হয়েছে। অন্যরা কী ভাবছে সেটা মাথায় রেখে আমরা পথ ছেড়ে যাইনি।’ বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদনে এ কথা বলা হয়েছে।
আলোচনায় যেসব ইস্যু
তাইওয়ান নিয়ে জো বাইডেনের সাম্প্রতিক বক্তব্যে বোঝা যায়, উভয় দেশের জন্য তাইওয়ান একটি গুরুত্বপূর্ণ ইস্যু। চীন এটিকে বিচ্ছিন্ন হয়ে যাওয়া প্রদেশ মনে করে। কিন্তু গণতান্ত্রিক তাইওয়ান নিজেদেরকে গণতান্ত্রিক সার্বভৌম রাষ্ট্র মনে করে।
তাইওয়ানের সুরক্ষার প্রশ্নে যুক্তরাষ্ট্রকে সরব থাকতে দেখা গেছে। বাইডেন গত মাসে বলেছেন, চীন যদি আক্রমণ করে তবে যুক্তরাষ্ট্র তাইওয়ানের পক্ষে থাকবে।
এ ছাড়া সাইবার নিরাপত্তা, বাণিজ্য ও পরমাণু বিষয়ে কথা হতে পারে।
শুক্রবার হোয়াইট হাউসের এক বিবৃতিতে বলা হয়, ‘যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের মধ্যে প্রতিযোগিতা কমানোর ক্ষেত্রে উভয়ের দায়িত্ব নিয়ে দুই নেতার কথা হবে। যেসব জায়গায় স্বার্থের যোগ রয়েছে সেসব ক্ষেত্রে কীভাবে একযোগে কাজ করা যায় সেটি নিয়েও আলোচনা হবে।’
কোভিড-১৯ ছড়িয়ে পড়ার পর থেকে প্রায় দুই বছর দেশের বাইরে যাননি চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং। সম্প্রতি জাতিসংঘের জলবায়ু পরিবর্তন শীর্ষক কপ-২৬ সম্মেলনে জো বাইডেনসহ বিশ্বের বহু নেতা সশরীরে হাজির হলেও শি জিনপিং তাতে যাননি। এ নিয়ে সমালোচনার মুখেও পড়েছেন তিনি। রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনও জলবায়ু সম্মেলন এড়িয়ে গেছেন।