ব্রাজিলের প্রেসিডেন্ট হাসপাতালে, অস্ত্রোপচার হতে পারে
ব্রাজিলের প্রেসিডেন্ট জাইর বলসোনারো অন্ত্রের জটিলতায় ভুগছেন। তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তাঁর অস্ত্রোপচার লাগতে পারে। সরকারি সূত্রে বুধবার এ কথা বলা হয়েছে। খবর সিএনএনের।
গত ৩ জুলাই দাঁতের চিকিৎসার পর জাইর বলসোনারোর (৬৬) হেঁচকি শুরু হয়। ডানপন্থী এই নেতাকে প্রথমে রাজধানী ব্রাসিলিয়ার সামরিক হাসপাতালে নেওয়া হয়। এরপর এয়ার ফোর্সের বিমানে করে তাঁকে সাও পাওলোর ভিলা নোভা স্টার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
প্রেসিডেন্টের কার্যালয় থেকে জানানো হয়, ২০১৮ সালে বলসোনারোর অস্ত্রোপচার করেন আন্তোনিও লুইজ মাসেদো। তিনি পরীক্ষা-নিরীক্ষা ও অস্ত্রোপচারের জন্য বলসোনারোকে সাও পাওলোর ওই হাসপাতালে পাঠানোর সুপারিশ করেন।
উল্লেখ, ২০১৮ সালে হামলার শিকার হন বলসোনারো। সে সময় ছুরিকাঘাতে তিনি গুরুতর আহত হন। তাঁর শরীরে ৪০ শতাংশ রক্তশূন্যতা তৈরি হয়। ছুরিকাঘাতের ওই ঘটনার পর থেকে বেশ কয়েকবার বলসোনারোর অস্ত্রোপচার করা হয়েছে। এবারে অস্ত্রোপচার করা হলে এটি হবে সপ্তম।
ব্রাজিলের যোগাযোগবিষয়ক ব্যবস্থাপক ফাবিও ফারিয়া সাংবাদিকদের জানান, সাও পাওলোর হাসপাতালে স্থানান্তরের সময় বলসোনারো শান্ত ও স্বাভাবিক ছিলেন।
এদিকে টুইটে বলসোনারো জানিয়েছেন, শিগগিরই তিনি সুস্থ হয়ে ফিরে আসবেন। তিনি সবাইকে শুভেচ্ছা জানান।
এর আগে বলসোনারো হাসপাতালের বিছানায় শোয়া অবস্থায় তাঁর একটি ছবি টুইট করেন। ওই ছবিতে দেখা যায়, তাঁর শরীরে নানা রকম যন্ত্রপাতি লাগানো।
করোনাভাইরাসের সংক্রমণ মোকাবিলায় ব্যর্থতার জন্য বলসোনারো সমালোচিত হচ্ছেন। টিকা কেনায় দুর্নীতি করার অভিযোগও রয়েছে তাঁর বিরুদ্ধে। এ মাসের শুরুর দিকে কয়েক হাজার মানুষ রাস্তায় নেমে তাঁর বিরুদ্ধে বিক্ষোভ করেছে। এদিকে টিকা কেনায় দুর্নীতি নিয়ে তাঁর বিরুদ্ধে তদন্তও চলছে।
এ ছাড়া করোনা মোকাবিলায় সামাজিক দূরত্ব মানা, মাস্ক পরা, লকডাউন, টিকাদান ইত্যাদি যথাযথ পদক্ষেপ না নিতে পারার কারনেও তাঁর সরকার সমালোচিত।