ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীর আপত্তি, জলবায়ু সম্মেলনে যাচ্ছেন না রাজা চার্লস
আগামী নভেম্বর মাসে মিসরে অনুষ্ঠিত হতে চলেছে জাতিসংঘের কপ২৭ জলবায়ু সম্মেলন। সেখানে নতুন ব্রিটিশ রাজা তৃতীয় চার্লসের যোগ দেওয়ার ইচ্ছা ছিল। কিন্তু ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী লিজ ট্রাস আপত্তি জানানোয় সম্মেলনে যাচ্ছেন না তিনি।
বাকিংহাম প্রাসাদ চার্লসের জলবায়ু সম্মেলনে না যাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করে জানিয়েছে। প্রাসাদ থেকে রোববার জানানো হয়, রাজা চার্লস কপ২৭ জলবায়ু সম্মেলনে যোগ দেওয়ার বিষয়ে সরকারের কাছ থেকে পরামর্শ চেয়েছিলেন এবং প্রধানমন্ত্রী লিজ ট্রাস তাঁকে সম্মেলনে না যাওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন। সর্বসম্মতিক্রমেই এ সিদ্ধান্ত হয়েছে। খবর রয়টার্সের।
এর আগে ‘সানডে টাইমস’ পত্রিকাও এক খবরে জানিয়েছিল, যুক্তরাজ্যের নতুন প্রধানমন্ত্রী লিজ ট্রাস মিসরে অনুষ্ঠেয় জলবায়ু সম্মেলনে চার্লসে যোগ না দিতে বলেছেন।
ডাউনিং স্ট্রিটের এক কর্মকর্তার উদ্ধৃতি দিয়ে পত্রিকাটি জানায়, চার্লস এবং লিজ ট্রাসের মধ্যকার সম্প্রতিক একটি বৈঠক সৌহার্দপূর্ণ হয়েছে। তাদের মধ্যে কোনও বিরোধ দেখা যায়নি।
বাকিংহাম প্রাসাদও জানিয়েছে, ‘পারস্পরিক বন্ধুত্ব এবং শ্রদ্ধার সঙ্গেই এ ব্যাপারে মতৈক্য হয়েছে যে চার্লস সম্মেলনে যাবেন না।’
গত মাসে ব্রিটিশ রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথের মৃত্যুর পর রাজসিংহাসনে বসেছেন তাঁর বড় ছেলে চার্লস। সিংহাসনে আরোহণের আগে চার্লস বার্ষিক জলবায়ু সম্মেলনে যোগ দেবেন বলে আভাস দিয়েছিলেন।
এ সম্মেলনে যোগ দিতে গেলে এটিই হত রাজা হিসাবে চার্লসের প্রথম বিদেশ সফর। বরাবরই পরিবেশ ও জলবায়ু পরিবর্তন রোধে সোচ্চার চার্লস এ বিষয়ে একাধিকবার নিজের মতও প্রকাশ করেছেন।
ফলে জলবায়ু সম্মেলনে তাঁকে যেতে না দেওয়ার প্রধানমন্ত্রী ট্রাসের পরামর্শে চার্লস বক্তিগতভাবে নাখোশ কিনা বিবিসি-র পক্ষ থেকে তা জানতে চাওয়া হলে বাকিংহাম প্রাসাদ বলেছে, রাজা অস্বস্তিতে পড়েছেন বিষয়টি তা নয়। আর তিনি সরকারের পরামর্শ অনুযায়ী রাজা হিসেবে তাঁর সার্বভৌম ভূমিকা পালনের ব্যাপারে সবসময়ই সচেতন।