ভারতের সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী সালমান খুরশিদের বাড়িতে অগ্নিসংযোগ, ভাঙচুর
বইয়ে কট্টর হিন্দুত্ববাদ সম্পর্কে মন্তব্যের জেরে ভারতের সাবেক কেন্দ্রীয় পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও কংগ্রেসের জ্যেষ্ঠ নেতা সালমান খুরশিদের বাড়িতে হামলা চালানো হয়েছে। সোমবার ভারতের উত্তরাখণ্ড রাজ্যের নৈনিতাল শহরে সালমান খুরশিদের বাড়িতে অগ্নিসংযোগ ও ভাঙচুর চালানো হয়।
পাশাপাশি খুরশিদের বিতর্কিত ওই বইয়ের প্রকাশ ও বিক্রির উপরে স্থগিতাদেশ চেয়ে মামলা দায়ের হয়েছে দিল্লি হাইকোর্টে। অভিযোগ, ভারতের উত্তরপ্রদেশ রাজ্যের অযোধ্যায় বাবরি মসজিদ ধ্বংসের ঘটনা নিয়ে লেখা সালমান খুরশিদের সম্প্রতি প্রকাশিত ‘সানরাইজ ওভার অযোধ্যা : ন্যাশনহুড ইন আওয়ার টাইমস’ বইয়ে ক্ষমতাসীন ভারতীয় জনতা পার্টি (বিজেপি) এবং রাষ্ট্রীয় স্বয়ং সেবক সংঘের (আরএসএস) হিন্দুত্ববাদকে আইএস বা বোকো হারামের জিহাদি ইসলামের সঙ্গে তুলনা করেছেন।
নৈনিতাল শহরে সালমান খুরশিদের বাড়িতে হামলা চালানোর সময় হামলাকারীদের হাতে বিজেপির পতাকা ছিল বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। বাড়ি লক্ষ্য করে পাথর ছোড়ার পরে তারা আগুন ধরিয়ে দেয়। পোড়ানো হয় খুরশিদের কুশপুত্তলিকা।
ঘটনার পরে ক্ষতিগ্রস্ত বাড়ির ছবি পোস্ট করে খুরশিদ ফেসবুকে লেখেন, ‘আমি আশা করেছিলাম, যে বন্ধুরা এই কাজ করেছেন তাদের জন্যই ওই বাড়ির দরজা একদিন খুলে দেব। আমি যদি বলি এটা হিন্দুত্ব হতে পারে না তা হলে কি ভুল বলা হবে?’
অন্যদিকে, সালমান খুরশিদের বই প্রকাশ ও বিক্রির ওপরে স্থগিতাদেশ চেয়ে দিল্লি হাইকোর্টে আবেদন করেছেন আইনজীবী বিনিত জিন্দল। তিনি আবেদনে জানান, খুরশিদ প্রাক্তন কেন্দ্রীয় পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও বর্তমানে সংসদের সদস্য। তাঁর বইয়ে থাকা মন্তব্যে দেশের নিরাপত্তা, শান্তি ও সম্প্রীতি নষ্ট হতে পারে।
সালমান খুরশিদ ওই বইটিতে দাবি করেন, সাম্প্রতিক বছরগুলোতে মুনি ঋষিদের চর্চা করা সনাতন ধর্ম ও ক্লাসিক্যাল হিন্দুত্ববাদকে পাশে ফেলেছে এক ধরনের হিন্দুত্ববাদেদের কট্টর সংস্করণ। সালমান খুরশিদ এটাকে জিহাদি ইসলামি কট্টরপন্থী গ্রুপ আইএস ও বোকো হারামের রাজনৈতিক সংস্করণের সঙ্গে তুলনা করেন। যা নিয়ে ভারতজুড়ে তুমুল বিতর্ক সৃষ্টি হয়।