ভূমিকম্পের পর তুরস্ক থেকে দেশে ফিরেছেন ৪০ হাজার সিরিয়
২০১১ সালের মার্চে সিরিয়ায় সংকটের সূচনা। এরপর থেকে এখন পর্যন্ত দেশটিতে যুদ্ধ চলছে। সংকট সহিংসতাসহ বেশ কিছু কারণে দেশটি ছেড়েছে বা ছাড়ছে সিরিয়ার নাগরিকেরা। ভালো ভবিষ্যতের আশায় তুরস্ক পাড়ি জমিয়েছিল দেশটির অসংখ্য নাগরিক। তবে, ৬ ফেব্রুয়ারির ভূমিকম্পের পর সেই ভালো ভবিষ্যত পুড়ে ছাই। তুরস্ক থেকে সিরিয়ায় ফিরতে শুরু করেছে দেশটির নাগরিকেরা। এ পর্যন্ত ৪০ হাজার সিরিয় ফিরেও গিয়েছেন। তুর্কি কর্তৃপক্ষ ও সিরিয়ার এক বিদ্রোহী নেতার বরাতে আজ মঙ্গলবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে রয়টার্স।
লন্ডন ভিত্তিক সংবাদ সংস্থাটি জানিয়েছে, চারটি সীমান্ত দিয়ে সিরিয়ায় ফিরছে দেশটির নাগরিকেরা। গতকাল সোমবার বাব আল-হাওয়া সীমান্ত দিয়ে সিরিয়ায় ফিরেছেন দেশটির ১৩ হাজার ৫০০ নাগরিক। জারাবলুস দিয়ে ফিরেছে প্রায় ১০ হাজার। আর বাব আল-সালাম ও তাল আবিয়াদ সীমান্ত দিয়ে ফিরেছে সাত হাজার করে।
৪০ হাজার সিরিয় নাগরিকের ফেরার তথ্য নিশ্চিত করেছে তুরস্কের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা। তিনি বলেন, ‘সোমবার শেষে এই সংখ্যা ৪০ হাজারে ঠেকেছিল। প্রতিদিন এ সংখ্যা বাড়ছে।’
প্রতিবেদনে রয়টার্স আরও জানায়, সর্বশেষ কয়েক বছর ধরেই তুরস্কে পাড়ি জমাচ্ছিল সিরিয়রা। তবে, গত বছরের এপ্রিলে ঈদুল ফিতরের আগে সিরিয় নাগরিকদের জন্য নতুন নিয়ম করে এরদোয়ান প্রশাসন। ওই আইন অনুযায়ী, তুরস্কে আশ্রিতরা সিরিয়ায় ফেরত গেলে আর আসতে পারবে না। এর আগেই দেশটিতে ৩৫ লাখ সিরিয় নাগরিক আশ্রয় নিয়েছিল।
এদিকে, ভূমিকম্পের পর সিরিয়দের জন্য ফের একটি আইন জারি করা হয়। তা অনুযায়ী, ছয় মাসের মধ্যে দেশ দুটিতে অবাধে যাতায়াত করতে পারবে আশ্রিতরা। এই সুযোগ কাজে লাগিয়ে নিজ দেশে ফিরছেন সিরিয়রা। ভূমিকম্পে ক্ষতিগ্রস্ত স্বজনদের দেখতে ও খোঁজ খবর নিতেই যাচ্ছেন তারা।