ভয়াবহ দূষণে ধুঁকছে দিল্লি, অনির্দিষ্টকালের জন্য স্কুল-কলেজ বন্ধ
ভয়াবহ দূষণে ধুঁকছে ভারতের রাজধানী দিল্লি। বাতাসে বিষের কারণে পরবর্তী নির্দেশ পর্যন্ত দিল্লি’র রাজধানী এলাকায় স্কুল-কলেজ বন্ধ রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এবার দুষণের কারণে দিল্লিতে পড়াশোনা হবে অনলাইনে। সরকারি অফিস-আদালতে ৫০ শতাংশ কর্মী নিয়ে কাজ হবে। বাকিদের বাড়ি থেকে কাজ করতে হবে।
গতকাল মঙ্গলবার রাতে এমন নির্দেশনা জারি করেছে ভারতের ন্যাশনাল ক্যাপিটাল রিজিওনের (এনসিআর) কমিশন ফর এয়ার কোয়ালিটি ম্যানেজমেন্ট। এনসিআরের অন্তর্ভুক্ত রাজ্যগুলো হচ্ছে দিল্লি, হরিয়ানা, রাজস্থান, উত্তরপ্রদেশ।
সম্প্রতি দিল্লির দূষণ পরিস্থিতি নিয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেন ভারতের সুপ্রিম কোর্ট। দূষণ নিয়ন্ত্রণে প্রয়োজনে দুদিনের লকডাউন করার সুপারিশ করেন শীর্ষ আদালত।
এদিকে, রাজধানীতে দূষণ পরিস্থিতি নিয়ে দিল্লি সরকার সুপ্রিম কোর্টে জানায়, দূষণ নিয়ন্ত্রণে আনতে সম্পূর্ণ লকডাউনের পথেও যেতে পারে সরকার। রাজধানী দিল্লিসহ এনসিআর এলাকায় লকডাউন জারি করার ভাবনার কথা আদালতে জানায় দিল্লির কেজরিওয়াল সরকার। তার পরেই দূষণ নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাওয়ায় এয়ার কোয়ালিটি ম্যানেজমেন্ট এই নির্দেশিকা জারি করল।
নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, দিল্লির ৩০০ কিলোমিটারের মধ্যে চালু থাকবে মাত্র পাঁচটি তাপবিদ্যুত কেন্দ্র। ৩০ নভেম্বর পর্যন্ত বাকি ছয়টি তাপবিদ্যুত কেন্দ্র বন্ধ রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ২১ নভেম্বর পর্যন্ত রাজধানী দিল্লিতে সবরকম নির্মাণ কাজ, ভাঙার কাজ বন্ধ রাখতে হবে। আগামী রোববার পর্যন্ত অত্যাবশ্যকীয় পণ্যবাহী ট্রাক ছাড়া অন্য মালবাহী গাড়ির প্রবেশ নিষেধ দিল্লিতে। ২১ নভেম্বর পর্যন্ত দিল্লির প্রতিবেশী রাজ্য হরিয়ানা, রাজস্থান, উত্তরপ্রদেশ এবং পাঞ্জাবের অফিস আদালতে ৫০ শতাংশ কর্মীকে বাড়ি থেকে কাজ করার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
গত শনিবার দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল জানান, এক সপ্তাহের জন্য রাজধানীতে স্কুল বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে দিল্লি সরকার। এক সপ্তাহের জন্য বন্ধ থাকবে স্কুল। সেইসঙ্গে আগামী চার দিন বন্ধ থাকবে নির্মাণ শিল্পের কাজকর্ম।
কিন্তু, পরিস্থিতির উন্নতি না হওয়ায় অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ হচ্ছে সমস্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। ফলে কোভিড পর্বের মতোই আপাতত শুধুমাত্র অনলাইনে পড়াশোনা হবে রাজধানী দিল্লিতে।
এনসিআরের অন্তর্ভুক্ত রাজ্যগুলো হচ্ছে দিল্লি, হরিয়ানা, রাজস্থান, উত্তরপ্রদেশ। সরকারি নির্দেশনায় এ চার রাজ্যকে বলা হয়—তাদের সরকারি কর্মীদের অন্তত ৫০ শতাংশ যেন ২১ নভেম্বর পর্যন্ত বাড়ি থেকে কাজ করেন। বেসরকারি সংস্থাগুলোকেও তাদের অন্তত ৫০ শতাংশ কর্মীকে বাড়ি থেকে কাজ করানোর বিষয়ে উৎসাহ দিতে বলা হয়।