মিয়ানমারে দুই শতাধিক বাড়ি পুড়িয়ে দিয়েছে জান্তা
মিয়ানমারের উত্তরাঞ্চলের কিন, আপার কিন ও কে তাউং এলাকার বেশকিছু গ্রামে সামরিক সরকারের বাহিনী তিন দিনের অভিযানে কয়েকশ ঘরবাড়ি পুড়িয়ে দিয়েছে। সংবাদ সংস্থা এএফপির বরাত দিয়ে দ্য গার্ডিয়ান আজ শনিবার এ তথ্য জানায়।
যুক্তরাষ্ট্রের মহাকাশ গবেষণা সংস্থা-নাসার স্যাটেলাইট চিত্রেও কয়েকটি গ্রামে আগুনের ধোঁয়া দেখা গেছে। ড্রোন ফুটেজে প্রায় আট কিলোমিটারজুড়ে ধোঁয়া উড়তে দেখা গেছে।
গত ২৬ মে ফাঁকাগুলি ছোড়া হলে কিন গ্রামের লোকজন ঘরবাড়ি ছেড়ে পালিয়ে যান। নামপ্রকাশে অনিচ্ছুক ওই গ্রামের এক বাসিন্দা বলেন, ‘পরদিন ভোরে আমাদের গ্রামের ওপর ধোঁয়ার কুণ্ডলী দেখতে পাই। দুই শতাধিক বাড়ি পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। আমার বাড়ির পুরোটাই পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। শুধু ইটপাথরের ভিত্তিটা রয়ে গেছে।’
বিরোধীদের দমনে ইদানিং প্রায়ই বিভিন্ন অঞ্চলে অভিযান চালাচ্ছে মিয়ানমারের সামরিক বাহিনী। গত বছরের ১ ফেব্রুয়ারি সামরিক অভ্যুত্থানে ক্ষমতা দখলের পর থেকেই দেশটির সাগাইং অঞ্চলে গণতন্ত্রপন্থী সশস্ত্র সংগঠন পিপলস ডিফেন্স ফোর্সের (পিডিএফ) সদস্যদের সঙ্গে কয়েকদিন বাদে বাদেই সামরিক বাহিনীর সদস্যদের সংঘর্ষ হচ্ছে।
পিডিএফ সদস্যরা প্রশিক্ষণের জন্য জঙ্গলকে বেছে নেন। মিয়ানমারের সামরিক বাহিনী এই পিডিএফ সদস্যদের দমনে স্থলপথের অভিযানের পাশাপাশি বিমান হামলার আহ্বান জানায়।
ক্ষতিগ্রস্ত এক গ্রামবাসী বলেন, ‘আমার জীবন শেষ, আমার বাড়িটা ধ্বংস করা হয়েছে। বেঁচে থাকার অবলম্বন বলতে আমার আর কিছুই রইল না।’
অন্যদিকে, গত মঙ্গলবার এক ভাষণে জান্তা সরকারের প্রধান মিন অং হ্লাইং বলেন, ‘সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড নিয়ন্ত্রণে যেসব অভিযান চালানো হয় তাতে যেন হতাহত কম হয়, তার সর্বোচ্চ চেষ্টা থাকে।’