যুক্তরাজ্যে করোনার টিকা ঢুকতে বাধা হতে পারে ইউরোপীয় ইউনিয়ন
ব্রাসেলস থেকে আসা লাখ লাখ করোনাভাইরাসের টিকা যুক্তরাজ্যে আসার পথে বাধা হয়ে দাঁড়াতে পারে ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ)। ইইউর দেশগুলোতে টিকার অপ্রতুল সরবরাহের কারণে টিকা রপ্তানির অনুমোদন না দিয়ে এমন পদক্ষেপ নেওয়া হতে পারে বলে জানিয়েছে যুক্তরাজ্যের সংবাদমাধ্যম দ্য গার্ডিয়ান।
ফাইজার-বায়োএনটেকের টিকার চার কোটি ডোজ অর্ডার করা আছে যুক্তরাজ্যের। যুক্তরাষ্ট্রের ফাইজার এবং জার্মানির বায়োএনটেকের যৌথ উদ্যোগে তৈরি এই টিকার বড় একটি কারখানা ইইউ জোটভুক্ত দেশ বেলজিয়ামের রাজধানী ব্রাসেলসে। এ ছাড়া অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার কোভিশিল্ড তৈরিরও কারখানা আছে বেলজিয়াম। ফলে বেলজিয়াম রপ্তানি করতে না দিলে বিপুল পরিমাণ টিকা থেকে বঞ্চিত হতে পারে যুক্তরাজ্য।
ইউরোপীয় কমিশনের এক কর্মকর্তা গার্ডিয়ানকে বলেন, ‘রপ্তানি অনুমোদন না দেওয়ার মতো পরিস্থিতি তৈরি হতে পারে। তবে, সেটি হবে একেবারে চূড়ান্ত উপায়।’
১৪ জুলাইয়ের মধ্যে যুক্তরাজ্যের ৭৫ শতাংশ মানুষকে করোনার টিকা প্রদানের লক্ষ্যমাত্রা রয়েছে। শুধু দেশে উৎপাদিত টিকা দিয়ে এই লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করতে গেলে প্রায় দুই মাস বাড়তি সময় লাগতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
ইউরোপীয় ওষুধ প্রস্তুতকারক শিল্পমালিকদের ফেডারেশন বলছে, রপ্তানির অনুমতি দেওয়া বন্ধ হলে টিকার বৈশ্বিক সরবরাহে ধস নামতে পারে।
এদিকে বেলজিয়ামের কারখানায় উৎপাদনে সমস্যার কথা বলে ২৫ শতাংশ টিকা সরবরাহে বিলম্ব হবে বলে গত সপ্তাহে জানায় অ্যাস্ট্রাজেনেকা। এ ঘোষণায় বেশ বেকায়দায় পড়েছে ২৭ দেশের জোট ইউরোপীয় ইউনিয়ন। মার্চের মধ্যে ইউরোপকে ১০ কোটি ডোজ টিকা সরবরাহের কথা রয়েছে কোম্পানিটির।
তবে যুক্তরাজ্যকে দৈনিক ২০ লাখ ডোজ সরবরাহে কোনো অসুবিধা হবে না, অ্যাস্ট্রাজেনেকার এমন ঘোষণার পর খেপেছে ইউরোপীয় জোট।
ইউরোপীয় ইউনিয়নভুক্ত জনগোষ্ঠীর বয়স্কদের মাত্র দুই শতাংশ করোনাভাইরাসের টিকা পেয়েছেন। যেখানে যুক্তরাজ্যে বয়স্কদের ১১ শতাংশ এরই মধ্যে টিকা পেয়েছেন।