যুক্তরাষ্ট্রে ৫-১১ বছরের শিশুদের জন্য ফাইজারের টিকার জরুরি ব্যবহারের অনুমোদন
পাঁচ থেকে ১১ বছর বয়সি শিশুদের জন্য ফাইজার-বায়োএনটেকের তৈরি কোভিড-১৯ টিকার জরুরি ব্যবহারের অনুমোদন দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। দেশটির খাদ্য ও ওষুধ প্রশাসন (এফডিএ) কয়েকদিন আগে এ টাকার ব্যবহারের সুপারিশ করে। এবার চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত জানাল মার্কিন রোগ নিয়ন্ত্রণ ও প্রতিরোধ কেন্দ্র (সিডিসি)। সংবাদমাধ্যম বিবিসির প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
সিডিসি’র পরিচালক রচেলে উলেনস্কি শিশুদের জন্য ফাইজারের টিকার চূড়ান্ত অনুমোদনের কথা জানিয়েছেন। এখন অচিরেই নির্ধারিত বয়সি শিশুদের টিকা দেওয়া শুরু হবে। পাঁচ থেকে ১১ বয়সী শিশুদের তিন সপ্তাহের ব্যবধানে দুই ডোজ টিকা দেওয়া হবে। যুক্তরাষ্ট্রে পাঁচ থেকে ১১ বছর বয়সের প্রায় দুই কোটি ৮০ লাখ শিশু রয়েছে।
বিশেষজ্ঞেরা বলছেন, স্বাভাবিক জীবনে ফিরে যাওয়ার জন্য শিশুদের টিকাদান জরুরি।
এফডিএ জানায়, পাঁচ থেকে ১১ বছরের শিশুদের বেলায় কোভিড টিকা ৯১ শতাংশ কার্যকারিতা দেখিয়েছে। এদের শরীরের রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থা ১৬ থেকে ২৫ বছর বয়সিদের মতোই প্রায়। তা ছাড়া বিশেষ কোনো পার্শ্বপ্রতিক্রিয়াও মেলেনি।
যুক্তরাষ্ট্রে বর্তমানে ১২ বছর থেকে তদূর্ধ্ব বয়সিদের ফাইজারের টিকা দেওয়া হচ্ছে। অন্যদিকে, চীনসহ পৃথিবীর বেশকিছু দেশে ১২ বছরের কম বয়সী শিক্ষার্থীদের কোভিড টিকা দেওয়া হচ্ছে। চীনে তিন বছর বা তার বেশি বয়সিদের কোভিড টিকা দেওয়া হচ্ছে।
এ বছরেও যুক্তরাষ্ট্রে দুই হাজার ৩০০ স্কুল বন্ধ রাখতে বাধ্য করেছে কোভিড। গত আগস্ট পর্যন্ত দেশটিতে ১২ লাখ শিক্ষার্থী এবং ৭৮ হাজার শিক্ষক করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। সিডিসি’র একজন জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তার বরাত দিয়ে এনবিসির প্রতিবেদনে এ তথ্য দেওয়া হয়েছে।
সিডিসির তথ্য অনুযায়ী, যুক্তরাষ্ট্রে এ পর্যন্ত পাঁচ থেকে ১১ বছরের ১৮ লাখ শিশু করোনায় আক্রান্ত হয়েছে। তাদের মধ্যে প্রায় দুইশ জনের মৃত্যু হয়েছে। এবং আক্রান্তদের বেশির ভাগ চিকিৎসকের পর্যবেক্ষণে রয়েছে।
এক বিবৃতিতে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন বলেছেন, ‘আমরা অভিভাবকদের দীর্ঘদিনের দুশ্চিন্তার অবসান চাই। একই সঙ্গে শিশুরা যাতে অন্যদের মধ্যে ভাইরাস না ছড়ায়, সে ব্যবস্থাও নিতে চাই।’
টেক্সাস চিলড্রেন হসপিটালের (টিসিএইচ) পরীক্ষা-নিরীক্ষা বিভাগের প্রধান ড. জেমস ভারসালনোভিক বলেন, ‘টিকার প্রয়োজনীয়তা বোঝা উচিত অভিভাবকদের। মহামারি এখনও চলে যায়নি। যুক্তরাষ্ট্রের সবচেয়ে বড় শিশু হাসপাতাল টিসিএইচে এ পর্যন্ত দেড় হাজারের বেশি শিশুর করোনা শনাক্ত হয়েছে।