যুক্তরাষ্ট্র ও জাতিসংঘের কাছে সৈন্য পাঠানোর অনুরোধ হাইতির
স্থল, সমুদ্র ও বিমানবন্দরসহ গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনার নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে জাতিসংঘ ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কাছে সৈন্য পাঠানোর অনুরোধ জানিয়েছে হাইতি। আততায়ীদের হাতে হাইতির প্রেসিডেন্ট জোভেনেল ময়েস নিহতের পর এমন অনুরোধ জানিয়েছে দেশটি। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির খবরে এ কথা জানানো হয়েছে।
হাইতির সরকারের পক্ষ থেকে সেনা পাঠানোর অনুরোধ জানানো হলেও ‘এই মুহূর্তে’ সেনা পাঠানোর কোনো পরিকল্পনা নেই বলে জানিয়ে দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র।
গতকাল শুক্রবারই যুক্তরাষ্ট্র তাদের অবস্থান পরিষ্কার করেছে। তবে, ঘটনা তদন্ত করতে এফবিআই ও হোমল্যান্ড সিকিউরিটি বিভাগের কর্মীদের পাঠানোর কথা জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র।
অন্যদিকে, জাতিসংঘকে আন্তর্জাতিক সৈন্য পাঠাতে হলে নিরাপত্তা পরিষদে তা পাস করতে হবে। এখনও আন্তর্জাতিক সংস্থাটির পক্ষ থেকে কিছু জানানো হয়নি।
এদিকে, এমনকি করোনাভাইরাস মহামারি আঘাত হানার আগে থেকেই হাইতি নানা সামাজিক এবং অর্থনৈতিক সমস্যায় হাবুডুবু খাচ্ছিল। এখন নতুন করে যুক্ত হওয়া রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতা হয়তো হাইতিকে খাদের কিনারে ঠেলে দেবে।
সরকার এরই মধ্যে দুই সপ্তাহের জন্য দেশজুড়ে ‘জরুরি অবস্থা’ ঘোষণা করেছে। বলা হচ্ছে, আততায়ীদের ধরা এবং এবং সম্ভাব্য সামাজিক অস্থিরতা দমনের জন্য এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। এই জরুরি অবস্থার বলে সরকার জনসমাবেশ নিষিদ্ধ করতে পারবে এবং সামরিক বাহিনীকে আইনশৃঙ্খলা রক্ষার কাজে লাগাতে পারবে।
গত বৃহস্পতিবার রাজধানী পোর্টো প্রিন্সের বিমানবন্দর বন্ধ করে দেওয়া হয়। লোকজনকে তাদের বাড়িঘরে থাকতে বলা হয়।
প্রধানমন্ত্রী ক্লদ জোসেফ বলেছেন, ‘দেশে যাতে ধারাবাহিকতা বজায় থাকে, তার জন্য সব ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে’ এবং ‘গণতন্ত্র ও প্রজাতন্ত্রের জয় হবেই।’
কিন্তু হাইতির সবচেয়ে শক্তিশালী রাজনীতিকে খুব নির্মমভাবে হত্যার এই ঘটনা পুরো দেশকে যেভাবে নাড়িয়ে দিয়েছে, তারপর প্রধানমন্ত্রী জোসেফ দেশের ওপর কতটা নিয়ন্ত্রণ বজায় রাখতে পারবেন সেটা নিয়ে প্রশ্ন আছে।