যে কারণে সর্বপ্রথম ট্রুডোকে ফোন করবেন প্রেসিডেন্ট বাইডেন
বিদেশি নেতাদের মধ্য থেকে সবার আগে কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডোকে টেলিফোন করবেন যুক্তরাষ্ট্রের সদ্য দায়িত্ব গ্রহণকারী প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। আগামীকাল শুক্রবার ট্রুডোকে ফোন করবেন বাইডেন।
বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানায়, কানাডা ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যকার আলোচিত কিস্টোন পাইপলাইনের বিষয়ে কথা বলতে ট্রুডোকে ফোন করবেন বাইডেন। হোয়াইট হাউসের মুখপাত্র জেন সাকি তাঁর প্রথম সংবাদ সম্মেলনে এ কথা জানিয়েছেন।
জেন সাকি সাংবাদিকদের বলেন, ‘শুক্রবার প্রধানমন্ত্রী ট্রুডো হবেন তাঁর (বাইডেনের) প্রথম বৈদেশিক কল।’
সাকি আরো বলেন, দুই দেশের মধ্যকার গুরুত্বপূর্ণ সম্পর্ক এবং কিস্টোন এক্সএল তেল পাইপলাইন নির্মাণে বাইডেনের নিষেধাজ্ঞার বিষয়ে তাঁরা কথা বলবেন।
এদিকে প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ গ্রহণের কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই পূর্বসূরি ডোনাল্ড ট্রাম্পের কয়েকটি পদক্ষেপ পাল্টে দিতে শুরু করেছেন বাইডেন। তিনি বলেছেন, ‘আমরা যে সংকটের মুখোমুখি হয়েছি, সেটি মোকাবিলা করতে অপচয় করার মতো সময় নেই।’
বাইডেন এরই মধ্যে ১৫টি নির্বাহী আদেশে সই করেছেন। এর মধ্যে করোনা মোকাবিলায় ফেডারেল এলাকা ও ফেডারেল কর্মীদের জন্য মাস্ক পরায় বাধ্যবাধকতা ও শারীরিক দূরত্ব বজায় রাখা, নতুন অভিবাসন নীতি, প্যারিস জলবায়ু চুক্তিতে ফিরে আসা, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থায় (ডব্লিউএইচও) পুনরায় যোগ দেওয়া ও মুসলিম দেশগুলো থেকে ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের বিষয়গুলো রয়েছে। সংবাদমাধ্যম বিবিসি ও ডয়েচে ভেলের প্রতিবেদনে এ খবর জানানো হয়েছে।
ক্ষমতাগ্রহণের আগে থেকেই করোনা মোকাবিলায় ট্রাম্প প্রশাসনের চেয়ে অধিক কার্যকরী পদক্ষেপ নেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে আসছিলেন বাইডেন। এরই অংশ হিসেবে মহামারিতে বিভিন্ন কাজ সমন্বিত করার জন্য একটি কার্যালয় করবে বাইডেন প্রশাসন। এ ছাড়া ডাব্লিউএইচও থেকে যুক্তরাষ্ট্রের সরে আসার বিষয়ে ট্রাম্প প্রশাসনের পদক্ষেপ বাতিল করছেন বাইডেন। ফলে পুনরায় ডাব্লিউএইচওর সঙ্গে যোগ দিচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র।
এ ছাড়া জলবায়ু পরিবর্তনের বিষয়টিয়ে অনেক গুরুত্ব দিচ্ছে বাইডেন প্রশাসন। আর সেজন্যই প্যারিস জলবায়ু চুক্তিতে যুক্তরাষ্ট্রের ফিরে যাওয়ার পদক্ষেপ নিয়েছেন বাইডেন। এর আগে প্যারিস জলবায়ু চুক্তি থেকে সরে এসেছিল ট্রাম্প প্রশাসন।