রাজার কাছে রাজাকের ক্ষমা প্রার্থনা
মালয়েশিয়ার সাবেক প্রধানমন্ত্রী নাজিব রাজাক রাজকীয় ক্ষমা চেয়েছেন। দুর্নীতির দায়ে ১২ বছরের জন্য কারাগারে যাওয়ার দুই সপ্তাহেরও কম সময়ের মাথায় ক্ষমা চাইলেন তিনি। গতকাল সোমবার দেশটির স্পিকার আজহার আজিজান হারুন বিষয়টি নিশ্চিত করেন। খবর রয়টার্সের।
মালয়েশিয়ার সংবিধান অনুযায়ী, এক বছরের বেশি সময়ের জন্য কারাদণ্ডে দণ্ডিত যে কোনো আইনপ্রণেতা স্বয়ংক্রিয়ভাবে তাঁর এমপি পদ হারাবেন, যদি না তাঁরা ১৪ দিনের মধ্যে রাজার কাছে ক্ষমার আবেদন করেন।
আজহার বলেন, শুক্রবার করা ক্ষমার আবেদনের সিদ্ধান্ত না হওয়া পর্যন্ত নাজিব আইপ্রণেতা হিসেবে বহাল থাকবেন। তবে ওই আবেদন খারিজ হলে তাঁর এমপি পদ বাতিল হয়ে যাবে। নাজিবের একজন আইনজীবীও তাঁর রাজকীয় ক্ষমা প্রার্থনার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
মালয়েশিয়ার সর্বোচ্চ আদালত গত ২৩শে আগস্ট রাষ্ট্রীয় তহবিল ওয়ান মালয়েশিয়া ডেভেলপমেন্ট বেরহাদের (ওয়ানএমডিবি) কোটি কোটি মার্কিন ডলারের দুর্নীতির সঙ্গে জড়িত থাকায় ৬৯ বছর বয়সি নাজিবের একটি আপিল প্রত্যাখ্যান করে তাঁকে কারাগারে পাঠান।
এ অপরাধে ২০২০ সালের ২৮ জুলাই তাঁকে ১২ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছিলেন দেশটির একটি আদালত। একই সঙ্গে তাঁকে প্রায় ৫ কোটি মার্কিন ডলার জরিমানাও করা হয়েছিল।
উচ্চ আদালত রাজাকের সাজা বিলম্বিত করার অনুরোধও প্রত্যাখ্যান করেন। ২০২০ সালে ওই দণ্ড ঘোষণার পর উচ্চ আদালতে আপিল করেছিলেন ১০ বছর দাপটের সঙ্গে মালয়েশিয়া চালানো নাজিব রাজাক। আপিলের সময় তিনি জামিনে বেরিয়ে আসেন।
ওয়ানএমডিবি দুর্নীতির মামলার সাত অভিযোগের সবগুলোতে নাজিব রাজাককে দোষী সাব্যস্ত করেন মালয়েশিয়ার আদালত। প্রতিটি অভিযোগের জন্য আলাদাভাবে সাজা ঘোষণা করা হয়। এর মধ্যে ক্ষমতার অপব্যবহারের দায়ে একটি অভিযোগে নাজিবকে ১২ বছরের কারাদণ্ডের পাশাপাশি জরিমানা করা হয়। এ ছাড়া দায়িত্বে থেকে অপরাধমূলক বিশ্বাসভঙ্গের তিনটি অভিযোগের প্রতিটিতে তাঁকে ১০ বছর করে এবং মুদ্রা পাচারের তিনটি অভিযোগের প্রতিটিতে ১০ বছর করে সাজা দেওয়া হয়। রায়ে বলা হয়, নাজিবের সব কটি ধারার সাজা একসঙ্গে কার্যকর হবে। ফলে সব মিলিয়ে সর্বোচ্চ ১২ বছর জেল খাটতে হবে তাঁকে।