রাশিয়ার হামলায় ইউক্রেনের বিদ্যুৎ ব্যবস্থার অর্ধেক অকার্যকর
রাশিয়ার ক্ষেপনাস্ত্র হামলায় ইউক্রেনের বিদ্যুৎ ব্যবস্থাপনার অর্ধেক অকার্যকর হয়ে পড়েছে এবং রাজধানী কিয়েভের কর্তৃপক্ষ হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেছে শীতের এই সময়ে পুরো শহরটিতেই বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ রাখতে হতে পারে। শুক্রবার ইউক্রেনের সরকারের পক্ষ থেকে এই তথ্য জানানো হয়।
ইউরোপীয় কমিশনের ভাইস প্রেসিডেন্টের সঙ্গে এক যৌথ সংবাদ সম্মেলনে ইউক্রেনের প্রধানমন্ত্রী দেনিস শমাইহাল এ বিষয়ে বলেন, ‘দুর্ভাগ্যজনক হলেও রাশিয়া ইউক্রেনের বেসামরিক লোকজন ও গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনাগুলোতে ক্ষেপনাস্ত্র হামলা অব্যাহত রেখেছে। আমাদের বিদ্যুৎ ব্যবস্থাপনার অর্ধেকেও বেশি অকার্যকর হয়ে পড়েছে।’
এর আগে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি বলেন, দেশটির চার কোটি ৪০ লাখ অধিবাসীর মধ্যে এক কোটিরও বেশি মানুষ বিদ্যুৎবিহীন অবস্থায় দিন কাটাচ্ছেন। আবার কিছু কিছু জায়গায় কর্তৃপক্ষ জরুরি পরিস্থিতির কারণে বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ রাখছে।
ইউক্রেনের জাতীয় গ্রিড অপারেটর ইউক্রেনারজো জানায় অক্টোবরের ১০ তারিখ থেকে নভেম্বরের ১৫ তারিখ পর্যন্ত রাশিয়া ইউক্রেনের জ্বালানি অবকাঠামোগুলোতে ছয়টি বড় মাত্রার ক্ষেপনাস্ত্র হামলা চালিয়েছে।
অক্টোবরে ক্রিমিয়া উপদ্বীপের সংযোগ সেতুটি হামলায় আংশিক ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার পর রাশিয়া পুরো ইউক্রেন জুড়ে ক্ষেপনাস্ত্র হামলা জোরদার করে। মস্কো সেতুতে হামলার জন্য কিয়েভকে দায়ী করে আসলেও ইউক্রেন এই হামলার অভিযোগ অস্বীকার করেছে।
এদিকে নয় মাসের যুদ্ধে সবচেয়ে বেশি মাত্রায় বেসামরিক স্থাপনায় বোমাবর্ষনের মুখে পড়া ইউক্রেনের সাধারণ নাগরিকরা এই শীতে তাপমাত্রা শূন্য ডিগ্রির নীচে চলে যাওয়ায় পড়েছেন ভীষণ সংকটে। বিদ্যুৎবিহীন অবস্থায় ঠান্ডায় রাত কাটাচ্ছেন তারা। সরকারি কর্মকর্তারা দেশটির বিদ্যুৎ সরবরাহ ব্যবস্থা ঠিকঠাক করতে দিনরাত পরিশ্রম করে যাচ্ছেন।
জাতিসংঘ হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেছে এই শীতে বিদ্যুৎ ও পানি সরবরাহ ব্যবস্থা ভেঙ্গে পড়ায় ইউক্রেনে মানবিক বিপর্যয় দেখা দিতে পারে।