রাশিয়ায় চীনা প্রেসিডেন্ট শি জিন পিং
রাশিয়ায় পৌঁছেছেন চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিন পিং। আজ সোমবার (২০ মার্চ) একটি ফ্লাইটে করে মস্কোয় যান শি। এ সফরে রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে আলোচনা করবেন চীনা প্রেসিডেন্ট। সেই আলোচনায় থাকবে ইউক্রেন ইস্যুও। ইউক্রেনে চলা যুদ্ধ নিয়ে চীনের ভূমিকা কি এ সফরেই তা প্রকাশ্যে আসবে। খবর রয়টার্সের।
লন্ডনভিত্তিক সংবাদ সংস্থাটি জানিয়েছে, আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের (আইসিসি) গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করার পর শি হবেন প্রথম বিশ্ব নেতা যিনি কি না পুতিনের সঙ্গে হাত মেলাবেন। ইউক্রেনের শিশুদের জোর করে রাশিয়ায় পাঠানো ও যুদ্ধাপরাধের অভিযোগে গত শুক্রবার পুতিনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করে আইসিসি।
পুতিনের গ্রেপ্তারি পরোয়ানা নিয়ে মস্কো বলছে, প্রেসিডেন্টকে অভিযুক্ত করা মানে স্পষ্টভাবে আমাদের বিরুদ্ধে যাওয়া। এমনকি বিষয়টি অতিরঞ্জিত ও প্রতিকূলতা স্পষ্ট করছে। আর বেইজিং বলছে, পুতিনের সঙ্গে দ্বৈতভাব প্রতিফলিত হচ্ছে।
এই মাসেই তৃতীয়বারের মতো চীনের প্রেসিডেন্ট হয়েছেন শি। তার এই সফরকে বিশাল করে দেখাচ্ছে রাশিয়া। তাদের মতে, পশ্চিমাদের বিরুদ্ধে শক্তিশালী এক বন্ধু তাদের সঙ্গে রয়েছে।
সফর নিয়ে চীনের একটি দৈনিকে পুতিনের একটি লেখা প্রকাশিত হয়েছে, যেটি কি না ক্রেমলিনের ওয়েবসাইটেও প্রকাশ করা হয়েছে। প্রকাশিত ওই আর্টিকেলে পুতিন লেখেন, ‘মস্কো ও বেইজিংয়ের মধ্যে রাজনৈতিক এবং সামরিক সম্পর্ক স্নায়ুযুদ্ধ যুগের তুলনায় সর্বোচ্চ পর্যায়ে রয়েছে। চীনের নেতার সঙ্গে বৈঠক নিয়ে অনেক প্রত্যাশা রয়েছে।’
ইউক্রেন সংকট সমাধানে ১২ দফা প্রস্তাবনা দিয়েছে চীন। অন্যদিকে, মস্কোর সঙ্গে সম্পর্ক জোরদার করছে বেইজিং।
ইউক্রেন যুদ্ধক্ষেত্রে রাশিয়াকে সহায়তার জন্য অস্ত্র দিচ্ছে চীন, এমন অভিযোগ যুক্তরাষ্ট্রসহ পশ্চিমাদের। এই অভিযোগ বারবার অস্বীকার করে আসছে তারা। তবে, পশ্চিমা নিষেধাজ্ঞার পরও রাশিয়ার কয়লা, তেল ও প্রাকৃতিক গ্যাস আমদানিতে শীর্ষ অবস্থানে রয়েছে বেইজিং। এমনকি মস্কোর সঙ্গে সম্পর্ক আরও জোরদারের কথা বলছে তারা।
রাশিয়ার রাষ্ট্রীয় সম্প্রচার মাধ্যম বলছে, সোমবার বিকেলে মস্কোর ভনুকোভো বিমানবন্দরে পৌঁছেছেন শি। পৌঁছেই পুতিনের সঙ্গে অনানুষ্ঠানিক আলোচনা করবেন চীনের প্রেসিডেন্ট। এরপর নৈশভোজে যাবেন তিনি। আগামীকাল অর্থাৎ, মঙ্গলবার দুই আনুষ্ঠানিক আলোচনা করবেন।