অর্থপাচারের একটি ‍মামলায় গতকাল সোমবার কংগ্রেসনেতা রাহুল গান্ধীকে ১০ ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে ইডি (এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট)। দুদফায় তাঁকে এতো সময় ধরে জিজ্ঞাসাবাদ করেন কর্মকর্তারা।

সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি জানিয়েছে, রাহুল গান্ধীকে প্রথম দফায় তিন ঘণ্টা এবং দ্বিতীয় দফায় সাত ঘণ্টা জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। আজ মঙ্গলবার আবারও রাহুল গান্ধীকে তলব করা হয়েছে।

ন্যাশনাল হেরাল্ড মামলায় কংগ্রেস সাংসদ রাহুল গান্ধীকে দুদফায় মোট ১০ ঘণ্টার বেশি জিজ্ঞাসাবাদ করে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। 

সোমবার রাহুল গান্ধীর ইডি দপ্তরে হাজিরা দেওয়াকে কেন্দ্র করে রাজপথে নামে কংগ্রেস। নরেন্দ্র মোদি প্রশাসনের বিরুদ্ধে রাজনৈতিক প্রতিহিংসার অভিযোগ তুলে বিক্ষোভ করে তারা।

পুলিশি ধরপাকড় ঘিরে দিল্লির রাস্তা রণক্ষেত্রে পরিণত হয়। সকাল থেকেই রাহুল গান্ধীর বাসভবন, কংগ্রেস দপ্তর এবং ইডি দপ্তরের বাইরে বিপুল সংখ্যক পুলিশ মোতায়েন করা হয়।

সোমবার সকাল সাড়ে ১০টা নাগাদ রাহুল গান্ধীর বাসভবনে পৌঁছান প্রিয়াঙ্কা গান্ধী। সেখান থেকে দুজনে গিয়ে পৌঁছান কংগ্রেসের দপ্তরে। কংগ্রেসের শীর্ষ নেতাদের সঙ্গে মিছিল করে হেঁটে ইডি দপ্তরের দিকে রওনা দেন রাহুল। 

কিন্তু, কিছুটা দূরেই মিছিল আটকে দেয় কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অধীনস্থ দিল্লি পুলিশ। শুরু হয় ধস্তাধস্তি। কংগ্রেস কর্মীদের টেনে হিঁচড়ে পুলিশ ভ্যান ও বাসে তোলা হয়। পুলিশের সঙ্গে ধস্তাধস্তিতে পি চিদম্বরমের পাঁজরের হাড়ে ফাটল ধরেছে বলে কংগ্রেস নেতাদের দাবি। 

কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক রণদীপ সুরজেওয়ালা বলেন, চিদম্বরমের হাড় ভেঙে গেছে। ২০১৫ সালে ইডি এই মামলা বন্ধ করেছিল। এখন বিজেপির কাছে কিছু না থাকায়, ভিতু মোদি সরকার এ ধরনের অঘোষিত জরুরি অবস্থা জারি করছে।

ইডি কর্মকর্তারা রাহুল গান্ধীর কাছে জানতে চান, ইয়ং ইন্ডিয়ান কম্পানি তৈরির সিদ্ধান্ত কে নিয়েছিলেন? কম্পানি তৈরির বিষয়ে যে বৈঠক হয়েছিল, সেখানে কি রাহুল গান্ধী উপস্থিত ছিলেন?

এ ছাড়া, ইয়ং ইন্ডিয়ান কম্পানির কয়টি বৈঠকে তিনি উপস্থিত ছিলেন? কোথায় কোথায় তাঁর সম্পত্তি রয়েছে? বিদেশে তাঁর কোনো সম্পত্তি আছে কিনা। ইয়ং ইন্ডিয়ান কম্পানিতে তিনি কিভাবে পরিচালক হয়েছিলেন? তিনি কিভাবে শেয়ার কিনেছিলেন? শেয়ার কেনার জন্য টাকা দিয়ে থাকলে তা, কোন অ্যাকাউন্ট থেকে এবং কিভাবে দিয়েছিলেন?

এ প্রসঙ্গে কেন্দ্রীয় নারী ও শিশু কল্যাণমন্ত্রী স্মৃতি ইরানি বলেন, কংগ্রেসের পক্ষ থেকে যে প্রতিরোধ করা হচ্ছে, এটা দেশের গণতন্ত্র নয়। কংগ্রেসের গান্ধী পরিবারের দুই হাজার কোটি টাকার সম্পত্তি বাঁচানোর প্রয়াস।