লিবিয়ার প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে প্রার্থী হলেন মুয়াম্মার গাদ্দাফির ছেলে
২০১১ সালের অভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত ও নিহত লিবিয়ার নেতা মুয়াম্মার গাদ্দাফির ছেলে সাইফ আল-ইসলাম গাদ্দাফি আগামী ২৪ ডিসেম্বর অনুষ্ঠেয় প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে নিজেকে প্রার্থী হিসেবে নিবন্ধিত করেছেন। সংবাদমাধ্যম বিবিসির প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
মুয়াম্মার গাদ্দাফির জীবিতকালে সাইফকেই তাঁর উত্তরাধিকারী মনে করা হতো।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া একটি ছবিতে দেখা গেছে, সাইফ আল-ইসলাম নির্বাচনি একটি পোস্টারের সামনে বসে আছেন, এবং প্রার্থী হওয়ার জন্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্রে স্বাক্ষর করছেন। তাঁর মুখে দেখা যাচ্ছে কাঁচাপাকা দাড়ি এবং পরনে বাদামি রঙের লিবিয়ার ঐতিহ্যবাহী পোশাক।
সাইফ আল-ইসলাম ক্যামেরার দিকে তাকিয়ে পবিত্র কোরানের দুটি আয়াতের কিছু অংশের উদ্ধৃতি দেন। তিনি বলেন, ‘আল্লাহর ইচ্ছাই সব সময় পূরণ হয়, যদিও অবিশ্বাসীরা তা পছন্দ করে না।’
মুয়াম্মার গাদ্দাফির পতনের পর থেকে লিবিয়ায় সংঘাত চলছে। মানবাধিকার গোষ্ঠীগুলো বলছে, ২৪ ডিসেম্বরের নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠু হবে না। জাতিসংঘ এবং বিশ্বের শক্তিধর দেশগুলো সতর্ক করে দিয়েছে যে, এ নির্বাচন কেউ বানচাল করার চেষ্টা করলে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হবে।
গাদ্দাফির শাসনের পতনের পর একটি মিলিশিয়া বাহিনীর হাতে ধরা পড়েন সাইফ আল-ইসলাম। তারা তাঁকে ছয় বছর আটক করে রেখেছিল।
বার্তা সংস্থা রয়টার্স বলছে, সাইফ আল-ইসলামকে একটি আদালত ২০১৫ সালে মৃত্যুদণ্ডও দিয়েছিলেন এবং লিবিয়ার রাজধানী ত্রিপোলিতে গেলে তাঁকে হয়তো গ্রেপ্তার বা অন্য কোনো বিপদের মুখে পড়তে হবে।
এসব সত্ত্বেও ধীরে ধীরে সাইফ আল-ইসলাম প্রকাশ্যে আসছেন। কিছুদিন আগে দ্য নিউইয়র্ক টাইমসে তাঁর একটি সাক্ষাৎকারও প্রকাশিত হয়।
রয়টার্সের এক প্রতিবেদন বলছে, লন্ডন স্কুল অব ইকোনমিকসে পড়া সাইফ আল-ইসলাম অনর্গল ইংরেজি বলেন এবং পশ্চিমা মহলে একসময় তাঁর গ্রহণযোগ্যতা ছিল। তবে, ২০১১ সালের ঘটনাবলীর সময় বাবার পক্ষ নেওয়ার পর তাঁর সে ভাবমূর্তি অনেকটাই বদলে যায়। আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত এখনও তাঁকে যুদ্ধাপরাধের দায়ে খুঁজছে।