লেবানন ও গাজায় ইসরায়েলের বিমান হামলা
লেবাননের ভেতরে এবং গাজা উপত্যকাজুড়ে ফিলিস্তিনি জঙ্গিগোষ্ঠী হামাসের সঙ্গে সম্পৃক্ত লক্ষ্যবস্তুতে বিমান হামলা চালিয়েছে বলে জানিয়েছে ইসরায়েলের সামরিক বাহিনী। খবর বিবিসির।
এর আগে লেবানন থেকে ইসরায়েলের ওপর বড় ধরনের রকেট হামলা চালানো হয়, যেটির জন্য হামাসকে দায়ী করে ইসরায়েলিরা। এরপর পাল্টা এই বিমান হামলা চালায় তারা। ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ) জানায়, দক্ষিণ লেবাননে হামাসের ‘সন্ত্রাসী’ অবকাঠামোতে আঘাত হানা হয়েছে।
চলতি সপ্তাহের শুরুতে টানা দুই রাতে জেরুজালেমের আল-আকসা মসজিদে ইসরায়েলি পুলিশ অভিযান চালানোর পর নতুন করে উত্তেজনার সৃষ্টি হয়। আল আকসা মসজিদটি মুসলমানদের তৃতীয় সর্বোচ্চ পবিত্র স্থান। ইসরায়েলি অভিযানে মসজিদের ভেতরে ফিলিস্তিনিদের সঙ্গে সংঘর্ষ হয় এবং তা পরে বাইরে ব্যাপক ক্ষোভ সৃষ্টি করে।
লেবানন থেকে রকেট ছোড়ার সময় হামাসের প্রধান ইসমাইল হানিয়াহ বলেন, ইসরায়েলি আগ্রাসনের মুখে ফিলিস্তিনিরা তাদের অস্ত্র চালানো বন্ধ করে বসে থাকবে না।
শুক্রবার ভোরের দিকে আইডিএফ টুইটারে দেওয়া এক বিবৃতিতে জানায়, তাদের লক্ষ্যবস্তু ছিল দক্ষিণ লেবাননে হামাসের সন্ত্রাসী অবকাঠামো। তারা হামাসকে লেবানন থেকে কাজ করতে দেবে না। একইসঙ্গে লেবাননকে তার অঞ্চল থেকে চালানো প্রতিটি হামলার জন্য দায়ী বলে মনে করে ইসরায়েল।
হামাস জানিয়েছে, বৃহস্পতিবার লেবানন থেকে কে রকেট নিক্ষেপ করেছে, সে বিষয়ে তাদের কাছে কোনো তথ্য নেই।
তবে সেটি ১৭ বছরের মধ্যে ইসরায়েলের উত্তরের প্রতিবেশী দেশটি থেকে চালানো সবচেয়ে বড় হামলা ছিল। ইসরায়েল জানিয়েছে, ৩৪টি রকেটের মধ্যে বেশিরভাগই ঠেকানো হয়েছে। তবে ছয়টি ভবনে আঘাত করেছে।
ইসরায়েলি যুদ্ধবিমানগুলো গাজায় বিমান হামলা বাড়িয়েছে, ১০ মিনিটের মধ্যে প্রায় ২০টি ক্ষেপণাস্ত্র চারটি নতুন জায়গায় আঘাত হেনেছে। ফিলিস্তিন থেকেও ইসরায়েলের দক্ষিণাঞ্চলে রকেট নিক্ষেপ করা হয়েছে।
এর আগে মন্ত্রিসভা পরিষদের জরুরি বৈঠক করেন ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু। এ সময় টেলিভিশনে দেওয়া ভাষণে তিনি বলেছিলেন, ‘আমরা আমাদের শত্রুদের আঘাত করব এবং সমস্ত আগ্রাসনের জন্য তাদের মূল্য দিতে হবে।’
পরিস্থিতি শান্ত করার আহ্বান জানিয়ে নেতানিয়াহু বলেন, ‘আমরা সহিংসতাকারী চরমপন্থীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেব।’
পরিস্থিতিকে অস্থিতিশীল করতে লেবাননের ভূখণ্ড থেকে চালানো যেকোনো সামরিক অভিযানের নিন্দা জানিয়েছেন দেশটির প্রধানমন্ত্রী নাজিব মিকাতি।
লেবাননে জাতিসংঘের শান্তিরক্ষী বাহিনী ইউনিফিল বলেছে, পরিস্থিতি অত্যন্ত গুরুতর। উভয়পক্ষকে ধৈর্য ধরতে এবং আরও উত্তেজনা এড়ানোর আহ্বান জানিয়েছে তারা।