শস্য রপ্তানি চুক্তি নবায়নের আলোচনায় অংশ নেয়নি রাশিয়া
কৃষ্ণসাগরের বন্দর দিয়ে ইউক্রেনের শস্য রপ্তানি নিয়ে রাশিয়ার সঙ্গে যে চুক্তি হয়েছিল তার মেয়াদ শেষ হবে ১৮ মার্চ। মেয়াদ শেষ হওয়ার আগেই কয়েক দফায় বৈঠক হচ্ছে। তবে, এতে এখনও অংশ নেয়নি রাশিয়া। রুশ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বরাতে আজ রোববার (১২ মার্চ) এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে লন্ডনভিত্তিক সংবাদ সংস্থা রয়টার্স।
রোববার রুশ প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, তাদের প্রতিনিধিরা কৃষ্ণসাগর দিয়ে শস্য রপ্তানি চুক্তির সময় বাড়ানোর আলোচনায় অংশ নেয়নি। মন্ত্রণালয়টির মুখপাত্র মারিয়া জাকারোভা বলেন, ‘এই বিষয়ে এখনও কোনো আলোচনা হয়নি। এমনকি, আমাদের প্রতিনিধিরা অংশও নেয়নি।’
কৃষ্ণসাগর দিয়ে শস্য রপ্তানি চুক্তির সময় বাড়ানো নিয়ে আগামী ১৩ মার্চ পরবর্তী দফায় আলোচনা হবে জেনেভায়। বিষয়টি নিয়ে জাকারোভা বলেন, ‘আগামীকালের আলোচনায় আমাদের প্রতিনিধিরা ও জাতিসংঘের শীর্ষ বাণিজ্য কর্মকর্তা রেবেকা গ্রিনস্প্যান থাকবেন।’
২০২২ সালের জুলাইয়ে তুরস্ক ও জাতিসংঘের মধ্যস্থতায় ইউক্রেনের সঙ্গে খাদ্য শস্য রপ্তানি চুক্তি করে মস্কো। যুদ্ধের কারণে ইউক্রেনের বন্দরগুলোতে লাখ লাখ টন শস্য আটকা পড়ে। সেগুলো রপ্তানির সুযোগ করে দিতে রাশিয়ার সঙ্গে ইউক্রেনের এ চুক্তিটি হয়। কিন্তু, রাশিয়া ইতোমধ্যে ইঙ্গিত দিয়েছে, চুক্তি নিয়ে তারা সন্তুষ্ট না। চুক্তি বাড়ানোর জন্য করে শর্ত দিয়েছে মস্কো।
বিশ্বের মোট খাদ্য শস্যের বড় একটি অংশ উৎপাদিত হয় রাশিয়া এবং ইউক্রেনে। এ ছাড়া এই দুই দেশ শস্য রপ্তানির দিক দিয়েও শীর্ষে রয়েছে। ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে ইউক্রেনে হামলা পর রাশিয়া যখন ইউক্রেনের বন্দরগুলো বন্ধ করে দেয়, তখন বিশ্বে খাদ্য সংকটের শঙ্কা দেখা দেয়। তবে, তুরস্ক ও জাতিসংঘের প্রচেষ্টায় সেই শঙ্কা দূর হয়। কিন্তু, চুক্তিটির মেয়াদ শেষ হয়ে আসায় বিষয়টি আবারও চিন্তার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।