শার্লি হেবদোতে খামেনির ব্যঙ্গচিত্র, ইরানে ফরাসি প্রতিষ্ঠান বন্ধ
ফ্রান্সের ব্যঙ্গবিদ্রুপ সাময়িকী শার্লি হেবদোতে ইরানের ক্ষমতাসীন শাসকগোষ্ঠীর শীর্ষ নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনির ব্যঙ্গচিত্র প্রকাশ করায় তেহরানভিত্তিক একটি ফরাসি গবেষণাকেন্দ্র বন্ধ করে দিয়েছে দেশটির সরকার।
সেই সঙ্গে বুধবার (৪ জানুয়ারি) ইরানে নিযুক্ত ফ্রান্সের রাষ্ট্রদূত নিকোলাস রোশেকে তলব করার পাশাপাশি অদূর ভবিষ্যতে ফ্রান্সের বিরুদ্ধে আরও ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে এক বিবৃতিতে জানিয়েছ দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। খবর বিবিসি ও রয়টার্সের।
সাপ্তহিক সাময়িকী শার্লি হেবদো ২০২৩ সালের প্রথম সংখ্যায় খামেনি এবং তার অনুসারি ও ক্ষমতাসীন সরকারের উচ্চপর্যায়ের কয়েকজন নেতার দু’ধরনের কার্টুনচিত্র ছেপেছে। এক ধরনের চিত্রে দেখা গেছে— খামেনি ও তার অনুসারীরা নগ্ন অবস্থায় উদ্দাম যৌনতায় মেতেছেন; অপর চিত্রে দেখা যাচ্ছে— ইরানে চলমান সরকারবিরোধী আন্দোলনকে থামাতে বিক্ষোভকারীদের বেত্রাঘাত করা হচ্ছে।
ইরানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘শার্লি হেবদো ম্যাগাজিনে দীর্ঘদিন ধরে ইসলামের বিরুদ্ধে ঘৃণা ছড়ানো হচ্ছে এবং এর দায়দায়িত্ব অবশ্যই ফ্রান্সের সরকারকে নিতে হবে।’
‘আমরা ধারাবাহিকভাবে ফ্রান্সের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেব। প্রথম ধাপ হিসেবে (তেহরানের) ফ্রেঞ্চ ইনস্টিটিউট ফর রিসার্চ (আইএফআরআই) বন্ধ করা হয়েছে।’
ইরানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র নাসের কানানি সাংবাদিকদের বলেন, ‘মত প্রকাশের স্বাধীনতার নামে বিভিন্ন মুসলিম দেশ ও জাতির বিরুদ্ধে ঘৃণা ছড়ানোর কোনো অধিকার ফ্রান্সের নেই।’
এদিকে, শার্লি হেবদোর সম্পাদক লওরেন্ট সৌরিসিউ, যিনি তার সহকর্মী ও পরিচিতজনদের কাছে রিস নামে পরিচিত এক সম্পাদকীয়তে লিখেছেন, ইরানে চলমান সরকারবিরোধী আন্দোলনের সমর্থনেই এসব কার্টুন ছেপেছেন তারা। ফ্রান্সের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ক্যাথরিন কোলোন্নাও পরক্ষোভাবে তাকে সমর্থন করেছেন।