শাহবাজের মন্ত্রিসভায় থাকবে না এমকিউএম-পি
মন্ত্রিসভা গঠনে জোটের শরিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনা শুরু করেছেন পাকিস্তানের নতুন প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ। তবে শাহবাজের নেতৃত্বাধীন ফেডারেল মন্ত্রিসভায় না থাকার সিদ্ধান্ত নিয়েছে মুত্তাহিদা কওমি মুভমেন্ট-পাকিস্তান (এমকিউএম-পি)।
এমকিউএম-পি আহ্বায়ক খালিদ মকবুল সিদ্দিকী বলেছেন, সিদ্ধান্তটি এরই মধ্যে প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফকে জানানো হয়েছে। বরং দলটি সরকারকে বাইরে থেকে সমর্থন দিতে চায়।
মকবুল সিদ্দিকী বলেন, এমকিউএম-পি করাচিসহ সিন্ধু প্রদেশের অন্যান্য অঞ্চলের উন্নয়নের জন্য জোটের অংশীদারদের দেওয়া প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়নে বেশি আগ্রহী।
‘প্রতিশ্রুতিগুলো তাৎপর্যপূর্ণ, যেগুলো পূরণ করা দরকার,’ যোগ করেন সিদ্দিকী। দ্য নিউজের বরাত দিয়ে আজ বুধবার এ কথা জানিয়েছ জিও নিউজ।
এদিকে শাহবাজ শরিফের মন্ত্রিসভায় যোগ দেওয়া নিয়ে সিদ্ধান্তহীনতায় ভুগছে জোটের দ্বিতীয় বৃহত্তম শরিক পাকিস্তান পিপলস পার্টি (পিপিপি)।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, মন্ত্রিসভায় অংশ নিতে অনিচ্ছুক পিপিপি। তার চেয়ে জাতীয় পরিষদে সরকারদলীয় আইনপ্রণেতা হিসেবে তাঁরা সরকারকে ভালোভাবে সমর্থন দিয়ে যাবে।
সূত্র মতে, দলটির একাংশ জোট শক্তিশালী করতে মন্ত্রিসভায় যোগ দেওয়ার পক্ষে। তবে অপর অংশ তার চেয়ে দ্রুত নির্বাচনের জন্য নির্বাচনী সংস্কারের ওপর দলের জোর দেওয়া উচিত বলে মনে করছেন। কয়েক দিনের মধ্যে শীর্ষ নেতৃত্ব এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবে।
সূত্রগুলো বলছে, পিপিপি পার্লামেন্টের সাংবিধানিক দপ্তরের দায়িত্ব নিতে বেশি আগ্রহী। দ্বিতীয় ধাপে দলটি মন্ত্রিসভায় যোগ দিতে চায়। স্পিকার পদে রাজা পারভেজ আশরাফ ও সৈয়দ নাভিদ কামারকে প্রার্থী করার বিষয়ে দলে ঐকমত্য রয়েছে। অন্যদিকে জমিয়তে উলেমা-ই-ইসলামের (ফজল) প্রধান মাওলানা ফজলুর রহমানের ছেলে মাওলানা আসাদ মেহমুদ ডেপুটি স্পিকার হতে পারেন।
সূত্রমতে, জারদারি ও বিলাওয়ালের সঙ্গে বৈঠকে মন্ত্রিসভায় পিপিপির অংশগ্রহণের ওপর জোর দেন শাহবাজ। তবে দুই-এক দিনের মধ্যে দল এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবে বলে তাঁকে জানিয়েছেন জারদারি।