সদস্যপদ দিচ্ছে না ইইউ, জেলেনস্কির আশায় গুড়ে বালি
রাশিয়ার আগ্রাসনের কবলে থাকা ইউক্রেন তাদের দ্রুত ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) সদস্যপদ দেওয়ার আর্জি জানালেও তাতে সাড়া মেলেনি।
এক প্রতিবেদনে রয়টার্স জানিয়েছে, দ্রুত ইইউ সদস্য হওয়ার মাধ্যমে রাশিয়ার আক্রমণ প্রতিহত করতে মিত্রদের সামরিক সহায়তা পাওয়ার আশা করছিল কিয়েভ।
ফ্রান্সে ইউরোপীয় ইউনিয়নের একটি সম্মেলনে ইউক্রেনে রাশিয়ার হামলার নিন্দা জানানো হয়েছে। কিন্তু দ্রুত এ জোটের সদস্য করার বিষয়ে কিয়েভের আবেদন প্রত্যাখ্যাত হয়েছে।
শুক্রবার সম্মেলনের একটি অধিবেশনের শেষে ক্রোয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী আন্দরেস প্লেনকোভিচ বলেন, ‘কেউই রাতারাতি ইউরোপীয় ইউনিয়নের সদস্য হতে পারে না।’
সম্মেলনের সভাপতি চার্লস মিশেল কিয়েভের প্রতি সহানুভূতি ও নৈতিক সমর্থন জানিয়ে বলেন, ‘ইউক্রেন ইউরোপীয় পরিবারের সদস্য।’
তবে ইউরোপের ২৭ দেশের এই জোটের অন্য নেতারা স্পষ্ট করে দিয়েছেন, ইউক্রেনকে তড়িঘড়ি ইইউর সদস্যপদ দেওয়া হবে না।
প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির জেলেনস্কি বারবার ইউক্রেনকে ইইউর সদস্য করে নেওয়ার আহ্বান জানিয়ে আসছেন এবং এই জোটের পূর্ব ইউরোপের কয়েকটি সদস্য দেশও তার এই আহ্বানের প্রতি সহানুভূতিশীল।
ইইউর সম্প্রসারণের জোরালো বিরোধিতাকারী ডাচ প্রধানমন্ত্রী মার্ক রুট বলেন, ইইউর সদস্যপদ পাওয়ার কোনো ‘দ্রুততম প্রক্রিয়া’ নেই। তবে ইইউ কিয়েভের সঙ্গে সম্পর্ক আরও জোরদার করার প্রক্রিয়া চালিয়ে যাবে।
ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট এমানুয়েল ম্যাক্রোঁ বলেন, ‘যুদ্ধের মধ্যে থাকা একটি দেশের জন্য কী আমরা সদস্যপদ পাওয়ার প্রক্রিয়া চালু করতে পারি? আমি তা মনে করি না। তাহলে আমরা কি দুয়ার বন্ধ করে দিতে চাই? আমি বলবো, কখনোই না। সেটাও ন্যায়সঙ্গত হবে না। আমরা কি এ অঞ্চলের ভারসাম্যের জায়গাগুলো ভুলে যেতে পারি? আসুন আমরা সতর্ক থাকি।’
ইউরোপীয় ইউনিয়নের সদস্যপদ পেতে সাধারণত বছরের পর বছর সময় লাগে এবং কঠোর শর্ত পূরণ করতে হয়, যার মধ্যে অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা, দুর্নীতি মুক্তকরণ, উদার মানবাধিকার নীতির প্রতি সম্মান দেখানোর মতো বিষয়গুলো জড়িত।