সফলভাবে ‘হাইপারসনিক ক্ষেপণাস্ত্র’ ছোড়া হয়েছে : উত্তর কোরিয়া
এবার হাইপারসনিক বা শব্দের চেয়ে দ্রুতগতি সম্পন্ন ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপে সাফল্যের কথা জানাল উত্তর কোরিয়া। ‘হসং-৮’ নামের ক্ষেপণাস্ত্রটি গতকাল মঙ্গলবার ছোড়া হয়েছে বলে জানিয়েছে পিয়ংইয়ং। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি এবং বার্তা সংস্থা রয়টার্সের খবরে এ কথা বলা হয়েছে।
নতুন ক্ষেপণাস্ত্রটি উত্তর কোরিয়ার পাঁচ বছর মেয়াদি পরিকল্পনার সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ পাঁচটি অস্ত্রের একটি। দেশটির রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যম কেসিএনএ’র প্রতিবেদনে এমনটি বলা হয়।
উত্তর কোরিয়া সরকারের পক্ষ থেকে নতুন ক্ষেপণাস্ত্রটিকে ‘কৌশলগত অস্ত্র’ হিসেবে আখ্যায়িত করা হয়েছে। সাধারণত এমন ধরনের অস্ত্রে পারমাণবিক সক্ষমতা যুক্ত করা থাকে।
তা ছাড়া পশ্চিমা সরকারগুলোর ব্যাপক নিষেধাজ্ঞার মধ্যেও সফলভাবে হাইপারসনিক ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়ার অর্থ হচ্ছে, উত্তর কোরিয়া তার প্রতিরক্ষা খাতে ভালো উন্নতি করছে।
কেসিএনএ’র প্রতিবেদনে বলা হয়, ‘এই অস্ত্র ব্যবস্থা তৈরির মাধ্যমে জাতির আত্মরক্ষার সক্ষমতা বেড়েছে বলে প্রতীয়মান হয়।’
এ নিয়ে চলতি মাসে তৃতীয় ক্ষেপণাস্ত্রের পরীক্ষা চালাল উত্তর কোরিয়া। এরই মধ্যে নতুন ধরনের ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়েছে এবং একই সঙ্গে ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবস্থাও এনেছে পশ্চিমা দেশগুলোর নিষেধাজ্ঞায় জর্জরিত দেশটি।
অন্যান্য ক্ষেপণাস্ত্রের চেয়ে অনেক বেশি দ্রুতগতিসম্পন্ন এই হাইপারসনিক ক্ষেপণাস্ত্র। শব্দের গতির চেয়েও পাঁচগুণ বেশি গতিতে ছুটে যায় এটি।
কেসিএনএ জানায়, উড্ডয়ন থেকে শুরু করে হাইপারসনিক ক্ষেপণাস্ত্রটি পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণের মধ্যে ছিল।
উত্তর কোরিয়ার সর্বোচ্চ নেতা কিম জং উন গত জানুয়ারিতে এক বৈঠকে ঘোষণা দেন, ‘হাইপারসনিক ক্ষেপণাস্ত্রের ওয়ারহেড তৈরির জন্য বিজ্ঞানীরা এরই মধ্যে ‘গবেষণা কার্যক্রম’ শেষ করেছে।’
নতুন ব্যবস্থাটির প্রথম পরীক্ষা করা হলো মঙ্গলবার।
আত্মরক্ষার জন্য প্রয়োজীনয়তার কথা বলে নতুন নতুন অস্ত্র তৈরির কার্যক্রম চালিয়ে যাওয়ার কথা বলে আসছে পিয়ংইয়ং।
যদিও গত মাসে জাতিসংঘের পরমাণু সংস্থা বলেছে, ‘উত্তর কোরিয়া রিয়্যাক্টর চালু করেছে। যেটি দিয়ে পরমাণু অস্ত্র তৈরির জন্য প্লুটোনিয়াম উৎপাদন করা হতে পারে। এ ঘটনাকে গভীর উদ্বেগের বলে জানিয়েছে বিশ্ব সংস্থাটি।