সম্পত্তির লোভে ১২ লাখ টাকায় ভাড়াটে খুনি দিয়ে বাবাকে হত্যা!
ছেলে বখাটে। প্রথম স্ত্রীকে হত্যার অভিযোগে সে জেলও খেটেছে। এ নিয়ে বাবার সঙ্গে দ্বন্দ্বও চলছে। ছেলের দ্বিতীয় বৌয়ের ওপর বেজায় খুশি ওই বাবা। নিজের অঢেল সম্পত্তি দিবেন বৌমাকে। এতেই বাবার ওপর নারাজ ছেলে। তাঁকে খুন করতে ভাড়াটে খুনিও ঠিক করেন তিনি। খুনের জন্য ভাড়াটে খুনিদের প্রায় ১৩ লাখ টাকাও দেন। অবশেষে ওই ছেলে ও ভাড়াটে খুনিদের গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। ঘটনাটি ভারতের কর্ণাটক রাজ্যের বেঙ্গালুরুরের।
আজ মঙ্গলবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) এক প্রতিবেদনে এমনটি জানিয়েছে গালফ নিউজ।
আরব আমিরাত ভিত্তিক গণমাধ্যমটি জানায়, গত ১৩ ফেব্রুয়ারি বেঙ্গালুরুর বাসিন্দা ৭১ বছর বয়সী বৃদ্ধ নারায়ণস্বামী নিজ বাড়ির পার্কিং এরিয়াতে খুন হন। তাঁকে হত্যার অভিযোগে আজ মঙ্গলবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে কর্ণাটক পুলিশ। এর মধ্যে ওই বৃদ্ধার ছেলে ও দুজন ভাড়াটে খুনি রয়েছে।
পুলিশ বলছে, নিজের বাবাকে হত্যার জন্য ওই দুই ভাড়াটে খুনির সঙ্গে চুক্তি করেছিল ৩০ বছর বয়সী মণিকান্ত। এ জন্য ওই দুজনকে ১০ লাখ রুপি (বর্তমান বিনিময় হার অনুযায়ী বাংলাদেশি মুদ্রায় ১২ লাখ ৮৭ হাজার টাকা) দেন তিনি। গ্রেপ্তারকৃত ওই দুই ভাড়াটে খুনি হলেন- টি আদর্শ (২৬) ও শিভাকুমার (২৪)।
কর্ণাটক পুলিশের তথ্য মতে, নিহত নারায়ণস্বামীর ২৮টি ফ্ল্যাট রয়েছে। একইসঙ্গে বেঙ্গালুরুতে কয়েক একর জমি ও নগদ অর্থও রয়েছে। ছেলে মণিকান্তের দ্বিতীয় স্ত্রীর ওপর খুশি ছিলেন ওই বৃদ্ধা। নিজের ছেলের বৌকে একটি ফ্ল্যাট, ১৭০ শতাংশ জমি ও নগদ ১৫ লাখ রুপি দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন নারায়ণস্বামী। আর এতেই বাবার ওপর চটে যায় মণিকান্ত। সম্পত্তি নিজের নামে করতে বাবা ও স্ত্রীর সঙ্গে বিবাদে জড়ান তিনি।
গালফ নিউজ বলছে, নিজের প্রথম স্ত্রীকে হত্যার অভিযোগে ২০১৩ সালে জেলে যান মণিকান্ত। দ্বিতীয় স্ত্রীকেও হত্যার চেষ্টায় তিনি দ্বিতীয়বারের মতো কারাবরণ করেন। ওই সময় এক ভাড়াটে খুনির সঙ্গে পরিচয় হয় তার। বাবাকে খুন করতে পারলে নগদ এক কোটি রুপি ও একটি করে অ্যাপার্টমেন্ট দেওয়ার জন্য প্রতিশ্রুতি দেন মণিকান্ত। বাবাকে খুন করার জন্য অগ্রিম ১০ লাখ রুপি দেয় ওই ছেলে।