সুরাসক্ত ছিলেন সুরস্রষ্টা বেটোফেন?
সুর ও সঙ্গীতের নাম আসলেই সবার প্রথমে যে নামটি মনে পড়ে সেটি হচ্ছে বেটোফেন। লুডইউগ ফ্যান বিটোফেনকে মর্ত্যের সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ সুরকার ও সঙ্গীতস্রষ্টা বলে মনে করেন অনেকেই। অনেকেই আবার মনে করেন বিটোফেনের জন্ম না হলে হয়তো সুর ও গানের অর্থই বদলে যেত।
এই ধ্রুপদী সুরস্রষ্টা এবং পিয়ানো বাদকের বংশগত লিভার সিরোসিস ছিল। মৃত্যুর আগে তিনি লিভার ও হেপাটাইটিস রোগে ভুগেছেন এমনই দাবি কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের একদল গবেষকের। মৃত্যুর আগে বেটোফেনের কয়েক গোছা চুল সংগ্রহ করে রাখা হয়। সম্প্রতি গবেষকরা তাঁর পাঁচ গোছা চুলের জেনোম সিকোয়েন্স করেন। এতে তার লিভারের ওই ত্রুটি ধরা পড়ে। গবেষকরা জানান তার লিভার অনেকটাই ক্ষতিগ্রস্ত ছিল। অতিরিক্ত মদপানে এমনটা হয়ে থাকতে পারে বলেই ধারণা তাদের। গবেষকরা বলছেন নিয়মিতই মদপানের অভ্যাস ছিল তাঁর। তবে কতটা মদ তিনি পান করতেন সেটি জানা কঠিন বলছেন তারা।
তবে গবেষকরা ধারণা করে বলছেন নিয়মিত অতিরিক্ত পরিমাণে মদপান ও তার জিনের বংশগত বৈশিষ্ট্য এ দুটো বিষয় মেলালে লিভার সিরোসিসে আক্রান্ত হবার ব্যাপারটির একটি কারণ পাওয়া যায়।
গবেষকদলের একজন জোয়ান্নেস ক্রাউস বলেন বেটোফেন ঠিক কি কারণে মারা গিয়েছিল সেটি নিশ্চতভাবে বলা না গেলেও এটি নিশ্চিত যে তিনি উত্তরাধিকার সূত্রেই কিছু রোগ বহন করতেন এবং হেপাটাইটিস-বি ভাইরাস আক্রান্ত ছিলেন।
লুডইউগ ফ্যান বেটোফেনের জন্ম ১৭৭০ সালে জার্মানির বনে। তরুণ বয়েসে চলে যান অস্ট্রিয়ার ভিয়েনায়। সেখানেই ১৭৭০ সালে মাত্র ৫৬ বছর বয়সে বিরল এই সঙ্গীত প্রতিভার মৃত্যু হয়।
মাত্র ২০ বছর বয়সের আগেই মাথার সব চুল হারাতে থাকেন বেটোফেন। ১৮১৮ সালের দিকে শ্রবণশক্তি হারিয়ে সম্পূর্ণ বধির হয়ে যান এই অমর শিল্পী ।নাম্বার ফাইভ (No.5), নাম্বার সিক্স (No.6), নাম্বার নাইন (No.9), মুনলাইট সোনাটা এবং ফুয়্যেরে এলিস বেটোফেনের অন্যতম অমর, অবিনশ্বর সৃষ্টি।