সেপ্টেম্বরের ‘লুজার’ ঋষি অক্টোবরে হচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী
যুক্তরাজ্যের সাবেক প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন এরই মধ্যে ঘোষণা দিয়েছেন, কনজারভেটিভ পার্টির নেতা হওয়ার লড়াইয়ে তিনি থাকছেন না। রোববার রাতে তাঁর এই ঘোষণার পর সাবেক অর্থমন্ত্রী ঋষি সুনাকের ক্ষমতাসীন দলটির নেতা ও প্রধানমন্ত্রী হওয়ার সম্ভাবনা বেড়ে গেল।
গত ৫ সেপ্টেম্বর ব্রিটিশ সময় বেলা সাড়ে ১১টা ১০ মিনিটে (বাংলাদেশ সময় বিকেল ৫ টা ৪০ মিনবটে) ব্রিটেনের নতুন প্রধানমন্ত্রীর নাম ঘোষণা করা হয়। সেসময় ঋষি সুনাককে হারিয়ে ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী হয়েছিলেন লিজ ট্রাস।
তবে, মাত্র ৪৫ দিন প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করে পদত্যাগ করেন লিজ ট্রাস। এর মধ্য দিয়ে সেপ্টেম্বর মাসে লিজ ট্রাসের কাছে হেরে যাওয়া ঋষি সুনাকই অক্টোবরে ব্রিটেনের নতুন প্রধানমন্ত্রী হচ্ছেন।
যুক্তরাজ্যের পত্রিকাগুলোও ঋষি সুনাকের সম্ভাবনার কথা উল্লেখ করে শিরোনাম ও খবর প্রকাশ করেছে প্রথম পাতায় করেছে। দ্য টাইমসের খবরে বলা হয়েছে, বরিস জনসন নিজেকে প্রত্যাহার করে নেওয়ায় প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পথ পরিষ্কার হলো ঋষি সুনাকের জন্য। প্রথম পাতায় ঋষি সুনাকের বড় ছবিও ছেপেছে পত্রিকাটি।
এ ছাড়া যুক্তরাজ্যের ডেইলি মিরর ও দ্য সান একই রকম শিরোনাম করেছে। দুটি পত্রিকার শিরোনামে বলা হয়েছে, প্রধানমন্ত্রী হতে যাচ্ছেন ঋষি সুনাক। আর ডেইলি এক্সপ্রেসের শিরোনামে বলা হয়েছে, বসির সরে যাওয়ায় নতুন প্রধানমন্ত্রী হতে অপেক্ষায় ঋষি সুনাক।
আরেক পত্রিকা দ্য আই-এর খবরে বলা হয়েছে, বরিস জনসন লড়াই থেকে সরে যাওয়ায় এখন সবার থেকে এগিয়ে ঋষি সুনাক। আইনপ্রণেতাদের মধ্যে জনপ্রিয়তায় এগিয়ে তিনি। পত্রিকাটির শিরোনামে বলা হয়েছে, আইনপ্রণেতাদের চাপে প্রধানমন্ত্রী লড়াই থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন বরিস।
দ্য গার্ডিয়ানের খবরে বলা হয়েছে, ক্ষমতাসীন কনজারভেটিভ পার্টির পর্যাপ্ত সংখ্যক আইনপ্রণেতার সমর্থন পাননি বরিস জনসন। দলটির জ্যেষ্ঠ নেতারা তাঁকে নিয়ে সতর্ক অবস্থানে। তাঁদের ধারণা, বরিস ফিরে এলে বিশৃঙ্খলা এবং আগাম নির্বাচনের সম্ভাবনাও বেড়ে যেত। এতে আরও বলা হয়েছে, বরিস সরে যাওয়ার সম্ভাবনা বেড়ে গেল ঋষি সুনাকের।
বিবিসির খবরেও একাধিকবার উল্লেখ করা হয়েছে, পরিস্থিতি বিবেচনায় ধারণা করা হচ্ছে, ঋষি সুনাকই হচ্ছেন পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী।