স্টাফ পার্টি : যুক্তরাজ্যের রানির কাছে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের ক্ষমাপ্রার্থনা
যুক্তরাজ্যের প্রিন্স ফিলিপের শেষকৃত্যানুষ্ঠানের আগের রাতে কর্মীদের দুটি পার্টির আয়োজনের ঘটনায় রানির কাছে ক্ষমা চেয়েছে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীর বাসভবন ও কার্যালয় ১০ নম্বর ডাউনিং স্ট্রিট। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি এ খবর জানিয়েছে।
গত বছরের ১৬ এপ্রিল রাতে পার্টি আয়োজনের বিষয়টি নিয়ে সংবাদমাধ্যম দ্য টেলিগ্রাফ প্রথম প্রতিবেদন প্রকাশ করে।
প্রিন্স ফিলিপের মৃত্যুতে জাতীয় শোক চলাকালেই ১০ নম্বর ডাউনিং স্ট্রিটের ওই দুটি পার্টি হয় এবং রাতে শুরু হয়ে ভোর পর্যন্ত চলে। প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন দুটি পার্টির কোনোটিতেই উপস্থিত ছিলেন না। তবে তিনি কোভিডকালীন লকডাউন ভেঙে অন্য একটি পার্টিতে অংশ নেওয়ায় ব্যাপক সমালোচনার মুখে পড়েছেন।
‘জাতীয় শোকের সময় পার্টি করাটা অবশ্যই ক্ষমা চাওয়ার মতো বিষয়’ বলে উল্লেখ করেছেন প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসনের মুখপাত্র।
কোভিড নীতিমালার কারণে ডিউক অব এডিনবরা প্রিন্স ফিলিপের শেষকৃত্যে রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথ একা বসে আছেন—এমন একটি ছবি দিয়ে ১০ নম্বর ডাউনিং স্ট্রিটে পার্টির সমালোচনা করছেন বিরোধীদলীয় অনেকে।
এদিকে, ২০২০ সালের ২০ মে কোভিডের কারণে চলমান লকডাউন অমান্য করে ড্রিংক্স পার্টিতে অংশ নেওয়ার বিষয়টি স্বীকার করেছেন প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন। এ কারণে তাঁর পদত্যাগের দাবি তুলেছেন লেবার, লিবারেল ডেমোক্র্যাট ও এসএনপি দলের নেতারা।
বরিস জনসনের দল কনজারভেটিভ পার্টিরই পঞ্চম এমপি হিসেবে অ্যান্ড্রু ব্রিজেন লিখিতভাবে জানিয়েছেন, প্রধানমন্ত্রীর ওপর আস্থা হারিয়েছেন তিনি। মোট ৫৪ জন এমপি লিখিত জানালে কংগ্রেসে প্রধানমন্ত্রীর বিষয়ে আস্থা ভোটের আয়োজন বাধ্যতামূলক হয়ে পড়বে।
পেনশন বিষয়ক মন্ত্রী ও কনজারভেটিভ দলের নেতা গাই অপারম্যান বলেছেন, ‘বরিস জনসনের আচরণ গ্রহণযোগ্য নয়।’
অপারম্যান বিশেষ করে ২০ মে লকডাউন চলাকালে পার্টির বিষয়ে তাঁর বেদনার কথা জানিয়েছেন, কারণ ওই সময় তাঁর অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি জমজ সন্তান ও স্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ থেকে বিরত থাকতে হয়েছিল। জন্মের কিছু সময় পরই অপারম্যানের জমজ দুই ছেলে মারা যায়।