হংকংয়ের আরও ২ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে তিয়েনআনমেন স্মৃতিস্তম্ভ অপসারণ
হংকংয়ের আরও দুই বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্তৃপক্ষ তিয়েনয়ানমেন স্কয়ারের হত্যাযজ্ঞের স্মারক সরিয়ে নিয়েছে।
বিবিসি এক প্রতিবেদনে জানায়, ‘গডেস অব ডেমোক্র্যাসি’ ভাস্কর্য সরিয়ে নিয়েছে চাইনিজ ইউনিভার্সিটি অব হংকং। আর লিংনান বিশ্ববিদ্যালয় সরিয়ে নিয়েছে ‘রিলিফ’ ভাস্কর্য।
এর আগে হংকং বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ একই ঘটনার স্মরণে নির্মাণ করা বিখ্যাত ‘পিলার অব শেম’ ভাস্কর্য সরিয়ে নেয়।
১৯৮৯ সালের জুনে বেইজিংয়ের কেন্দ্রস্থলে তিয়েনআনমেন স্কয়ারে গণতন্ত্রের দাবিতে বিক্ষোভে জড়ো হওয়া শত শত ছাত্র-শ্রমিককে গুলি করে হত্যা করেছিল চীনের ক্ষমতাসীন কমিউনিস্ট সরকার। গোটা বিশ্ব সেই নৃশংসতা প্রতক্ষ্য করেছে।
নিহত সেই বিক্ষোভকারীদের স্মরণেই ১৯৯৭ সালে ডেনমার্কের ভাস্কর্যশিল্পী জেনস গ্যালশিওট স্তূপীকৃত লাশের মূর্তি দিয়ে তৈরি করেন ‘পিলার অব শেম’ নামের ভাস্কর্য, যেটি গত ২৪ বছর ধরে হংকং বিশ্ববিদ্যালয় প্রাঙ্গণে রাখা ছিল।
বুধবার রাতের অন্ধকারে সরিয়ে নেওয়া হয় সেই ভাস্কর্য। চীন সম্প্রতি হংকংয়ে রাজনৈতিক বিরোধিতা দমনের পদক্ষেপ জোরদার করার মধ্যে একের পর এক ভাস্কর্য সরিয়ে নেওয়ার এই পদক্ষেপ নেওয়া চলছে।
চীনা ছাত্ররা ১৯৮৯ সালে তিয়েনআনমেন স্কয়ারে মূল ভাস্কর্যটি তৈরির পরই হংকং এর চাইনিজ বিশ্ববিদ্যালয়ে স্থাপন করা হয়েছিল এর রেপ্লিকা ২০ ফুট উঁচু দ্য গডেস অব ডেমোক্র্যাসি।
হাতে মশাল ধরে থাকা এই নারী মূর্তিটি সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। তবে চাইনিজ ইউনিভার্সিটি অব হংকং সরাসরি এটি সরানোর কথা স্বীকার করেনি। তারা কেবল একটি ‘অননুমোদিত ভাস্কর্য’ সরানোর কথা জানিয়েছে।
শুক্রবার হংকংয়ের চাইনিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের এক বিবৃতিতে বলা হয়, ‘বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ কখনওই ভাস্কর্যটি প্রদর্শনের অনুমতি দেয়নি। কোনও সংস্থাই এর রক্ষণাবেক্ষণ ও ব্যবস্থাপনার দায় স্বীকার করেনি।’
লিংনান বিশ্ববিদ্যালয়ও বলেছে, ‘ক্যাম্পাসে থাকা যেসব জিনিস আইনি এবং নিরাপত্তা ঝুঁকির কারণ হতে পারে সেগুলো নিয়ে মূল্যায়ন এবং পর্যালোচনা হয়েছে। এরপর বিশ্ববিদ্যালয়ের সর্বোত্তম স্বার্থে সেগুলো সরানো হয়েছে।’
লিংনান বিশ্ববিদ্যালয়ে গডেস অব ডেমোক্র্যাসির একটি দেয়াল চিত্রও পেইন্ট দিয়ে ঢেকে ফেলা হয়েছে।