হংকংয়ের নির্বাচনি ব্যবস্থায় সংস্কার আনছে চীন
হংকংয়ের নির্বাচনি ব্যবস্থায় সংস্কার আনার পরিকল্পনা করছে চীন। হংকংয়ে ‘দেশপ্রেমিকেরা’ যাতে দায়িত্ব পায়, সে লক্ষ্যে এসব সংস্কার আনা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন চীনের শীর্ষস্থানীয় এক কর্মকর্তা। সংবাদমাধ্যম বিবিসির খবরে এ কথা জানানো হয়েছে।
সংস্কারের মাধ্যমে চীনের অধীন অঞ্চল হংকংয়ের ওপর কড়াকড়ি ও নিয়ন্ত্রণের মাত্রা আরও বাড়ানো হচ্ছে বলে বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে।
আজ বৃহস্পতিবার রাজধানী বেইজিংয়ে শুরু হওয়া চীনের সবচেয়ে বড় রাজনৈতিক ফোরাম ন্যাশনাল পিপলস কংগ্রেসে (এনপিসি) হংকংয়ের নির্বাচনি সংস্কার বিষয়ক খসড়া সিদ্ধান্ত নিয়ে আজ শুক্রবার আলোচনা হওয়ার কথা রয়েছে।
বছরের সবচেয়ে বড় আইনপ্রণেতা সম্মেলনটি সপ্তাহব্যাপী চলে। এই এনপিসি সম্মেলনে জাতীয় আন্তর্জাতিক সর্বোচ্চ গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলো আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নিয়ে থাকে চীন।
এনপিসির একজন মুখপাত্র ঝ্যাং ইয়েসুই গতকাল বৃহস্পতিবার বলেন, সংস্কারের মধ্যে হংকংয়ের শাসনপদ্ধতির উন্নয়নে সাংবিধানিক ক্ষমতা থাকছে।
স্থানীয় গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে, হংকংয়ের নেতা নির্বাচন কমিটির সদস্য সংখ্যা এক হাজার ২০০ জন থেকে এক হাজার ৫০০ এবং শহরটির আইনপ্রণেতা সংখ্যা ৭০ জন থেকে ৯০ জন করা হতে পারে।
হংকংয়ের পার্লামেন্ট নির্বাচনও ২০২২ সালের সেপ্টেম্বর পর্যন্ত পেছানো হতে পারে বলে খবর দিয়েছে সাউথ চায়না মর্নিং পোস্ট।
বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানায়, চীনের প্রধানমন্ত্রী লি কেকিয়াং শুক্রবার একটি রিপোর্টে উল্লেখ করেছেন, ‘হংকংয়ের বিষয়ে বাইরের কোনো শক্তির হস্তক্ষেপ কঠোর হাতে প্রতিহত করবে চীন।’ এ সময় তিনি ‘এক দেশ দুই পদ্ধতি’র প্রতিজ্ঞা পুনর্ব্যক্ত করেন।
হংকং চীনের অংশ। তবে বাক ও সংবাদপত্রের স্বাধীনতা রেখে নিজস্ব আইনি ব্যবস্থা রয়েছে হংকংয়ের। অর্থাৎ সেখানে ‘এক দেশ দুই পদ্ধতি’ নীতি অনুসরণ করা হয়। কিন্তু সম্প্রতি চীনের বিরুদ্ধে অধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগ তুলে আসছে হংকংয়ের বহু ব্যক্তি ও মানবাধিকার প্রতিষ্ঠান।
গত সপ্তাহে ৪৭ জন গণতন্ত্রপন্থি নেতার বিরুদ্ধে ‘রাষ্ট্রদ্রোহিতা’র দায়ে অভিযোগ গঠন করা হয়। এঁরা গত জুনে পার্লামেন্ট নির্বাচনের প্রার্থী বাছাইয়ে নিজেরা নিজেরা ‘প্রাইমারি ভোট’ আয়োজন করেন।