হংকংয়ে গণতন্ত্র এগিয়ে নেওয়ার দাবি কমিউনিস্ট চীনের
হংকংয়ের আইনসভা লেজিসলেটিভ কাউন্সিলের নির্বাচনে বেইজিংপন্থীদের জয়ে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেছে চীনের মন্ত্রিসভা। বেইজিং দাবি করেছে, কোনো দমন-পীড়ণ নয়, বরং এই দ্বীপ ভূখণ্ডের গণতন্ত্রকে অগ্রসর করছে চীন।
হংকংয়ে গণতন্ত্রের ‘উজ্জ্বল,সম্ভাবনার কথা উল্লেখ করে সোমবার এক শ্বেতপত্রে চীনের মন্ত্রিসভা হিসেবে পরিচিত স্টেট কাউন্সিল জানিয়েছে, হংকংয়ে ‘আইনের শাসন পুনঃপ্রতিষ্ঠা’ ও ‘গণতন্ত্রকে সঠিক পথে ফিরিয়ে’ আনতে নিরলসভাবে কাজ করছে চীনের কমিউনিস্ট সরকার।
গতকাল রোববার অনুষ্ঠিত হয়েছে হংকংয়ের লেজিসলেটিভ কাউন্সিলের নির্বাচন। কিন্তু এই নির্বাচনে কেবল অংশ নিয়েছেন বেইজিংপন্থী প্রার্থীরা। হংকংয়ে চলমান গণতান্ত্রিক আন্দোলনের সমর্থক কোনো প্রার্থীকে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে দেওয়া হয়নি।
তবে হংকংয়ের ইতিহাসে সবচেয়ে কম ভোট পড়েছে এই নির্বাচনে। রোববার এক প্রতিবেদনে বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছিল, হংকংয়ের মোট নিবন্ধিত ভোটারের সংখ্যা ৪৪ লাখ ৭৮ হাজার ৩৮৬ জন, কিন্তু নির্বাচনে ভোট দিয়েছেন মাত্র ১৩ লাখ ৫০ হাজার ৬৮০ জন।
চীনের দক্ষিণপশ্চিম উপকূলের এই দ্বীপভূখণ্ড একসময় ব্রিটিশদের নিয়ন্ত্রণে ছিল। ১৯৯৭ সালে এই দ্বীপটি চীনকে হস্তান্তর করে ব্রিটিশরা।
তবে হস্তান্তরের সময় শর্ত ছিল- চীন হংকংয়ের স্বায়ত্বশসানে হস্তক্ষেপ করবে না এবং গুরুতর কোনো কারণ ছাড়া সেখানে চীনা সামরিক বাহিনীর উপস্থিতি থাকবে না।
চুক্তি সম্পাদন হওয়ার কয়েক বছর পর থেকেই নানা কৌশলে হংকংকে মূল ভূখণ্ডের সঙ্গে যুক্ত করার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে চীন। হংকংয়ের গণতন্ত্রপন্থী জনগণ অবশ্য বরাবরই এই চেষ্টার প্রতিবাদ জানিয়ে এসেছে।