হংকং থেকে আগতদের দেড় বছর পর্যন্ত থাকার সুযোগ দিচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র
হংকংয়ের হাজারও বাসিন্দাকে অস্থায়ী ‘নিরাপদ আশ্রয়’ হিসেবে যুক্তরাষ্ট্রে নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত থাকার প্রস্তাব দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। তিনি বলেন, ‘হংকংয়ের স্বাধীনতা লঙ্ঘন করছে চীন। তাই, হংকংয়ের দর্শনার্থীদের ১৮ মাস পর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্রে থাকার অনুমতি দেওয়া হয়েছে।’ ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির এক প্রতিবেদনে আজ শুক্রবার এ তথ্য জানানো হয়েছে।
বিবিসি বলছে, এরই মধ্যে হংকংয়ের হাজারও বাসিন্দা যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থান করছে। এমন সিদ্ধান্তের ফলে তারা সুবিধা পেতে পারে। তবে, যারা গুরুতর অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডের জন্য দোষী সাব্যস্ত, তারা এই সুযোগ পাবে না।
হংকংয়ে গণতন্ত্রপন্থিদের ব্যাপক বিক্ষোভের পরিপ্রেক্ষিতে চীন সেখানে গত বছর জাতীয় নিরাপত্তা আইন চালু করে। এই আইনে বিচ্ছিন্নতাবাদী আন্দোলন, বিদ্রোহ এবং বিদেশি শক্তির সঙ্গে যোগসাজশ করাকে অপরাধ সাব্যস্ত করা হয়। হংকংয়ে চীন এই আইনটি চালু করার পর যুক্তরাজ্য ওই অঞ্চল থেকে আসা বাসিন্দাদের স্থায়ী বসবাসের পথ করে দেওয়ার প্রস্তাব দেয়।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট বাইডেন বলেছেন, চীন শিক্ষাবিষয়ক স্বাধীনতার ওপর সীমাবদ্ধতা এবং সংবাদপত্রের স্বাধীনতার ওপর চাপ সৃষ্টির মাধ্যমে অঞ্চলটিতে অবশিষ্ট থাকা গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া ও প্রতিষ্ঠানগুলোকে অবমূল্যায়ন করেছে। এ ছাড়া আইনটি প্রয়োগের মাধ্যমে রাজনৈতিক ব্যক্তি ও কর্মীসহ ১০০ জনের বেশি মানুষকে গ্রেপ্তারের বিষয়টিও তুলে ধরেন বাইডেন।
অন্যদিকে, ওয়াশিংটনে চীনা দূতাবাসের মুখপাত্র লিউ পেঙ্গু মার্কিন সরকারের পদক্ষেপের সমালোচনা করেছেন। তিনি দাবি করেন, এমন পদক্ষেপের ফলে যুক্তরাষ্ট্র চীনের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে ব্যাপক হস্তক্ষেপ করছে।
ওয়াশিংটনভিত্তিক হংকং ডেমোক্রেসি কাউন্সিলের স্যামুয়েল চু জানান, তাঁদের ধারণা যুক্তরাষ্ট্রের এমন পদক্ষেপ লাখখানেক মানুষকে প্রভাবিত করবে। স্যামুয়েল বিবিসিকে বলেন, ‘এটি একটি উল্লেখযোগ্য সংখ্যা। আমি মনে করি, একটি বড় অংশের উপকৃত হওয়ার জন্য এটি একটি ভালো সুযোগ।’
মার্কিন সরকার বলছে, ২০১৯ সালে হংকং থেকে এক লাখ ৫৫ হাজার মানুষ যুক্তরাষ্ট্রে আসে। এ ছাড়া ২০২০ সালে আসে ২৩ হাজারের মতো মানুষ।