হিরোশিমায় আণবিক বোমা হামলার ৭৭ বছর আজ
হিরোশিমা দিবসের ৭৭তম বার্ষিকী আজ। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের দামামার মধ্যে ১৯৪৫ সালের ৬ আগস্ট জাপানের হিরোশিমা শহরে পৃথিবীর ইতিহাসে প্রথম আণবিক বোমা হামলা চালায় যুক্তরাষ্ট্র।
প্রতি বছরের মতো এবারও জাপানের হিরোশিমায় আজ শনিবার হিরোশিমা দিবস পালন করা হচ্ছে। হিরোশিমা পিস মেমোরিয়াল পার্কে দিবসটি নিয়ে স্মরণ অনুষ্ঠান আয়োজন করা হয়।
সাতাত্তর বছর আগে আজকের দিনে পরমাণু বোমায় কেঁপে উঠেছিল হিরোশিমা। ১৯৪৫ সালের ৬ আগস্ট যুক্তরাষ্ট্র বি-২৯ বোমারু বিমান থেকে ফেলা ‘লিটল বয়’-এর বিস্ফোরণে হিরোশিমায় প্রায় এক লাখ ৪০ হাজার মানুষের মৃত্যু হয়। এ ছাড়া বিস্ফোরণের প্রতিক্রিয়ায় সৃষ্ট রোগে হিরোশিমায় আরো দুই লাখ ৩৭ হাজার মানুষের মৃত্যু হয়।
জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস হিরোশিমায় বোমা হামলার বার্ষিকী উপলক্ষ্যে শহরের কেন্দ্রস্থলে পিস পার্কে সমবেত হাজার হাজার মানুষের সঙ্গে যোগ দেন। এ নিয়ে দ্বিতীয় বারের মতো বার্ষিক এ আয়োজনে অংশ নিলেন জাতিসংঘের কোনো মহাসচিব।
গুতেরেস বলেন, ‘পারমাণবিক অস্ত্র বাজে জিনিস। এসব অস্ত্র নিরাপত্তার নিশ্চয়তা দেয় না। এগুলো কেবল মৃত্যু আর ধ্বংস ডেকে আনে।’
‘এক শতাব্দীর তিন-চতুর্থাংশ শেষে, আমাদের অবশ্যই প্রশ্ন তোলা করা প্রয়োজন যে, ১৯৪৫ সালে এ শহরের ওপর বোমা হামলা থেকে আমরা কী শিখেছি’, যোগ করেন গুতেরেস।
তবে, গুতেরেস চলমান রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কথা সরাসরি উল্লেখ করা এড়িয়ে যান।
অন্যদিকে, হিরোশিমার মেয়র কাজুমি মাতসুই ইউক্রেনে মস্কোর সামরিক পদক্ষেপের সমালোচনা করেন। এ বছরের অনুষ্ঠানে রুশ রাষ্ট্রদূতকে আমন্ত্রণ জানানো হয়নি।
মাতসুই বলেন, ‘ইউক্রেন আক্রমণ করার মধ্য দিয়ে জনগণের জানমাল রক্ষার জন্য নির্বাচিত রুশ নেতা জনগণকে যুদ্ধের হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করছেন। তিনি অন্য একটি দেশের বেসামরিক মানুষের জীবন ও জীবিকা হরণ করছেন।’
এ ছাড়া মাতসুই যোগ করেন, ‘শান্তি যে পারমাণবিক অস্ত্র বর্জনের ওপর নির্ভর করে, সে ধারণাটি বিশ্বজুড়ে গতি লাভ করেছে।’