৩৬ ঘণ্টার যুদ্ধবিরতি পুতিনের, কিয়েভ বলেছে ‘ভণ্ডামি’
অর্থোডক্স খ্রিষ্টানদের বড়দিনের উৎসব উদ্যাপনের সুযোগ করে দিতে ইউক্রেনে সাময়িক যুদ্ধবিরতির আদেশ দিয়েছেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। ক্রেমলিন জানায়, বৃহস্পতিবার (৫ জানুয়ারি) এই আদেশ দেন তিনি। তবে এই যুদ্ধবিরতিকে ‘ভণ্ডামি’ ও ‘প্রোপাগান্ডা’ বলে প্রত্যাখ্যান করেছে ইউক্রেন।
গত বছর ২৪ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনে হামলা শুরু করে রুশ বাহিনী। যুদ্ধ শুরুর পর এই প্রথম পূর্ণাঙ্গ কোনো যুদ্ধবিরতি ঘোষণা করল রাশিয়া। খবর এএফপি ও বিবিসির।
রাশিয়ার অর্থোডক্স খ্রিষ্টানদের নেতা প্যাট্রিয়ার্ক কিরিল যুদ্ধবিরতির জন্য আহ্বান জানিয়েছিলেন। এছাড়া তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ানও এই যুদ্ধবিরতির জন্য পুতিনের ওপর চাপ দিচ্ছিলেন। এরপর রুশ সরকারের পক্ষ থেকে এই ঘোষণা দেওয়া হলো।
ক্রেমলিনের বিবৃতিতে প্রেসিডেন্ট পুতিনকে উদ্ধৃত করে বলা হয়েছে, ‘৬ জানুয়ারি দুপুর ১২টা থেকে ৭ জানুয়ারি মধ্যরাত পর্যন্ত যুদ্ধবিরতি কার্যকর রাখতে রুশ ফেডারেশনের প্রতিরক্ষামন্ত্রীকে আমি আদেশ দিয়েছি।’
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, ‘যেসব এলাকায় এখন যুদ্ধ চলছে, সেই সব এলাকায় অনেক অর্থোডক্স খ্রিষ্টধর্মাবলম্বী মানুষের বসবাস। অর্থোডক্স খ্রিষ্টানেরা যাতে চার্চে গিয়ে ধর্মীয় রীতিনীতি পালন করতে করতে পারেন, এ জন্য আমরা ইউক্রেনের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে যুদ্ধবিরতির আহ্বান জানাচ্ছি।’
এদিকে এই যুদ্ধবিরতির ঘোষণার সমালোচনা করেছেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির উপদেষ্টা মিখাইলো পোদোলিয়াক। তিনি এক টুইট বার্তায় লিখেছেন, ‘ইউক্রেনের যেসব এলাকা রাশিয়া দখল করে নিয়েছে সেই সব এলাকা অবশ্যই আগে ছেড়ে দিতে হবে। এরপরই একটি সাময়িক যুদ্ধবিরতি হবে। এই ভণ্ডামি নিজের কাছেই রাখুন।’