যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যবর্তী নির্বাচনের যে ফলাফল এখন পর্যন্ত ঘোষণা করা হয়েছে, তাতে কংগ্রেসের উচ্চকক্ষ সিনেটের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে ডেমোক্র্যাটিক পার্টি ও রিপাবলিকান পার্টির মধ্যে তুমুল লড়াই চলছে। তবে সিনেটের নিয়ন্ত্রণ শেষ পর্যন্ত কাদের হাতে যাবে, তা নির্ধারণে গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে তিনটি অঙ্গরাজ্য। এগুলো হলো- জর্জিয়া, নেভাদা ও অ্যারিজোনা। খবর বিবিসি ও সিএনএনের।

সিনেটে সংখ্যাগরিষ্ঠতার জন্য প্রয়োজন ৫১টি আসন। সবশেষ ফলাফলে ডেমোক্র্যাটিক পার্টি ও রিপাবলিকান পার্টির নিয়ন্ত্রণে এসেছে যথাক্রমে ৪৮ ও ৪৯টি আসন। অর্থাৎ, আর দুটি আসনে জয় পেলে সিনেট রিপাবলিকানদের নিয়ন্ত্রণে চলে যাবে। সংখ্যাগরিষ্ঠতা হারাবে ক্ষমতাসীন ডেমোক্র্যাটিক পার্টি।

নেভাদায় ৮০ শতাংশ ভোট গণনা শেষে এগিয়ে রয়েছেন রিপাবলিকান প্রার্থী অ্যাডাম ল্যাক্সাল্ট। তিনি পেয়েছেন ৪৯ দশমিক ৯ শতাংশ ভোট। তাঁর বিপরীতে ডেমোক্র্যাটিক প্রার্থী কর্টেজ মাস্তো পেয়েছেন ৪৭ দশমিক ২ শতাংশ ভোট।

নেভাদায় এখন পোস্টাল ভোট গণনা চলছে। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, আগামী শনিবারের আগে এখানকার চূড়ান্ত ফল পাওয়া নাও যেতে পারে।

অ্যারিজোনায় এগিয়ে রয়েছেন ডেমোক্র্যাটিক প্রার্থী মার্ক কেলি। সবশেষ হিসাবে, এ অঙ্গরাজ্যে ৬৯ শতাংশ ভোটগণনা শেষ হয়েছে। মার্ক পেয়েছেন ৫১ দশমিক ৪ শতাংশ ভোট। রিপাবলিকান প্রার্থী ব্লেক মাস্টার্স পেয়েছেন ৪৬ দশমিক ৪ শতাংশ ভোট।

এই দুই আসনে যদি এই ধারায় ফল আসে, অর্থাৎ নেভাদায় রিপাবলিকান ও অ্যারিজোনায় ডেমোক্র্যাট প্রার্থী জয় পান তাহলে দুই দলেরই সিনেটে আসন সংখ্যা ৫০ হবে। ডেমোক্রেটিক পার্টির একটি আসন কম হলেও ভাইস প্রেসিডেন্ট কমলা হ্যারিসের সমর্থনে তারা ৫০–এ পৌঁছাবে। সেক্ষেত্রে সিনেটের নিয়ন্ত্রণ কাদের হাতে যাবে তা নির্ধারণ হবে জর্জিয়ার ফলাফলে। তবে সহসাই সেখানকার চূড়ান্ত ফল জানা যাচ্ছে না। কেননা জর্জিয়ায় দ্বিতীয় দফায় ভোটে যেতে হচ্ছে। আর সেটা হবে আগামী ৬ ডিসেম্বর।

জর্জিয়ায় ডেমোক্রেটিক প্রার্থী রাফায়েল ওয়ারনক ও রিপাবলিকান প্রার্থী হার্শেল ওয়ালকারের কেউই ৫০ শতাংশের বেশি ভোট পাননি। সবশেষ হিসাবে এখানে ৯৯ শতাংশ ভোট গণনা করা হয়েছে। রাফায়েল পেয়েছেন ৪৯ দশমিক ২ শতাংশ ভোট। হার্শেলের ঝুলিতে গেছে ৪৮ দশমিক ৭ শতাংশ ভোট।