৯/১১ আধুনিক ইতিহাসের সবচেয়ে ভয়াবহ সন্ত্রাসী হামলা
২০০১ সালের ১১ সেপ্টেম্বর মাত্র ১০২ মিনিটের মধ্যে ঘটে যায় ভয়াবহ ঘটনা। সেদিন আধুনিক ইতিহাসের সবচেয়ে ভয়াবহ সন্ত্রাসী হামলায় নিহত হয় প্রায় তান হাজার মানুষ।
এর পরেই শুরু হয় আফগানিস্তানে যুদ্ধ যাতে সময় লেগেছে ১৯ বছর, ১০ মাস, তিন সপ্তাহ এবং দুই দিন। যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের হিসাব মতে, এই যুদ্ধে মারা গেছে কমপক্ষে দুই হাজার ৩২৫ জন আমেরিকান সৈন্য। ঠিক কতজন বেসামরিক মানুষ নিহত হয়েছে তা কেউ জানে না।
২০২১ সালের ১১ সেপ্টেম্বর প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন সেই জোড়া ট্র্যাজেডি যার যন্ত্রণার আগুনে সূচনা হয়েছিল আমেরিকার দীর্ঘতম যুদ্ধ, একটি সমাপ্তি টানার চেষ্টা করবেন এবং শ্রদ্ধা জানাবেন তিনটি স্থানে। খবর ভয়েস অব আমেরিকার।
যাকে বলা হত সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে বৈশ্বিক যুদ্ধ, মধ্য এশিয়ার ছোট দেশ আফগানিস্তান ছাড়িয়ে ইরাকে পৌঁছে যায়, এমন কি বিশ্বের বিভিন্ন স্থানে, দূর দুরান্ত আফ্রিকা পর্যন্ত এর বিস্তৃতি ঘটে। ইরাকে এই সংঘাতে প্রায় চার হাজার ৫০০ আমেরিকান সেনা সদস্য এবং লক্ষ লক্ষ বেসামরিক লোক নিহত হয়েছে।
আগস্টের শেষ নাগাদ আফগানিস্তান থেকে সব সৈন্য প্রত্যাহারের পর থেকে বাইডেন প্রশাসন গত ২০ বছরকে পিছনে ফেলে আসার জন্য বেশ কিছু চূড়ান্ত পদক্ষেপ নিয়েছে। ১১ই সেপ্টেম্বরের ঘটনাবলীর উপর আলোকপাত করতে পারে এমন কিছু নথি-পত্রকে গোপনীয়তামুক্ত করেছে এবং আমেরিকানদের প্রত্যাহারের পর আফগানিস্তানে ক্ষমতা দখলকারি তালেবান সরকার থেকে দূরত্ব বজায় রেখে পর্যবেক্ষণ করছে।
আগামীকাল শনিবার বাইডেন তিনটি জায়গা পরিদর্শন করবেন যেখান থেকে এই মারাত্মক স্ফুলিঙ্গের সূচনা : নিউ ইয়র্ক সিটি, যেখানে সেপ্টেম্বরের রৌদ্রোজ্জ্বল সকালে ৮টা ৪৬ মিনিটে আমেরিকান এয়ারলাইন্সের ফ্লাইট ১১ ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টারের উত্তর টাওয়ারে বিধ্বস্ত হয়েছিল এবং ঠিক ১৭ মিনিট পর ইউনাইটেড এয়ারলাইন্সের ফ্লাইট ১৭৫ দক্ষিণ টাওয়ারে আঘাত হানে।
তিনি পেন্টাগনও পরিদর্শন করবেন, যেখানে নিউইয়র্কের ঘটনার ঠিক ৩৪ মিনিট পর আমেরিকান এয়ারলাইন্সের ফ্লাইট ৭৭ বিধ্বস্ত হয়েছিল। পৃথক ভাবে, তিনি এবং ভাইস প্রেসিডেন্ট কামালা হ্যারিস পেনসিলভেনিয়ার শ্যাঙ্কসভিলের মাঠে যেখানে ইউনাইটেড এয়ারলাইন্সের ফ্লাইট ৯৩ বিধ্বস্ত হয় সেখানে শ্রদ্ধা জানাবেন।