৯৪৫ দিন পর বাধ্যতামূলক মাস্ক পরিধান থেকে সরে এলো হংকং
মহামারি করোনাভাইরাসে টালমাটাল গোটা বিশ্ব। ভাইরাসটির সংক্রমণ রুখতে বিধিনিষেধ জারি করেছিল বিভিন্ন দেশ। মাস্ক পরিধান বাধ্যতামূলক করেছিল। সেই তালিকায় ছিল হংকংও। অবশেষে, মাস্ক পড়ার বাধ্যবাধকতার ৯৪৫ দিন পর সেই অবস্থান থেকে সরে এলো দ্বীপ দেশটি। আজ বুধবার (১ মার্চ) এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে বিবিসি।
ব্রিটিশ গণমাধ্যমটি জানায়, হংকং মাস্ক পড়ার বাধ্যবাধকতা তুলে নিয়ে বিশ্বের দীর্ঘতম কোভিড বিধিনিষেধের অবসান হয়েছে। দেশটিতে মহামারি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে এবং নতুন করে ছড়িয়ে পড়ার শঙ্কা নেই বলে জানিয়েছেন শহরটির নেতা জন লি।
২০২০ সালের জুলাইয়ে মাস্ক পড়ার বাধ্যবাধকতা জারি করে হংকং প্রশাসন, যেটির স্থায়িত্ব ছিল ৯৪৫ দিন। এ সময়ে মাস্ক না পড়লে ৬৪০ মার্কিন ডলার করে জরিমানা গুণতে হতো।
গতকাল মঙ্গলবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) লি বলেন, ‘মাস্ক পড়ার বাধ্যবাধকতা থেকে সরে এসে হংকং স্বাভাবিক পরিস্থিতিতে ফিরে যাবে। চলতি ও আগামী বছরগুলোতে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি এগিয়ে নিতে পুরোদমে কাজ করা হবে। একইসঙ্গে উন্নয়ন কাজগুলো জোরেশোরে করা হবে।’
মাস্ক পড়ার বাধ্যবাধকতা তুলে নেওয়ায় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোতে উচ্ছ্বাস ও স্বস্তি প্রকাশ করছে হংকংয়ের বাসিন্দারা। তারা বলছে, অবশেষে মাস্ক খুলে দেওয়ার দিন অবশেষে এসেছে। তবে, অনেক নেটিজেন এর সমালোচনাও করছেন। কেন এতদিন এই বিধিনিষেধ রাখা হলো এ নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন তারা।
এদিকে, আজ বুধবারও হংকংয়ের অনেক বাসিন্দাকে মাস্ক পড়তে দেখা যায় বলে জানিয়েছে সেখানকার স্থানীয় গণমাধ্যমগুলো।
প্রতিবেদনে বিবিসি জানিয়েছে, করোনা সংক্রমণ রুখতে চীনের দেখানো পথেই চলেছে হংকং। চীনের মতো শূন্য কোভিড নীতিতে চলেছে তারা।
মাস্ক পড়ায় বাধ্যবাধকতা তুলে নিলেও অন্যান্য বিধিনিষেধ বজায় রেখেছে হংকং। এর মধ্যে রয়েছে কোয়ারেন্টিনসহ ব্যাপক জনসমাগম। এমনকি নার্সিং হোমগুলোতে দর্শনার্থী প্রবেশেও নিষেধাজ্ঞা রয়েছে।
বিধিনিষেধের কারণে ক্ষতির কথা বলছেন হংকংয়ের অনেক বাসিন্দা ও ব্যবসায়ীরা। তারা বলছেন, কঠোর বিধিনিষেধ আমাদের অর্থনীতি ও আন্তর্জাতিক অবস্থানকে ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করেছে। আমাদের মোট দেশজ উৎপাদন (জিডিপি) গত বছর তিন দশমিক পাঁচ শতাংশ কমেছে।