অধিকাংশ পশ্চিমার বিশ্বাস, তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধ প্রায় শুরু
তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধ প্রায় শুরু হয়ে গেছে। গোটা বিশ্ব এখন সেই সর্বাত্মক যুদ্ধের টালমাটাল পরিস্থিতিতে দাঁড়িয়ে আছে। পশ্চিমা বিশ্বের বেশির ভাগ মানুষ তেমনটিই মনে করছে।
নতুন এক জরিপে দেখা গেছে, পশ্চিমা বিশ্বের মানুষ পৃথিবীর ভবিষ্যৎ নিয়ে বেশ অন্ধকারাচ্ছন্ন অবস্থায় আছে। বিশ্বজুড়ে বিরাট সংঘাত সৃষ্টি হতে পারে বলে তারা আশঙ্কা করছে।
সিরিয়ায় চলছে বিশ্বের পরাশক্তিদের মদদে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ, মধ্যপ্রাচ্যে চলছে ইসলামিক স্টেটের (আইএস) যুদ্ধ। বিশ্বজুড়ে চলা এই যুদ্ধ পরিস্থিতিতে কঠিন খেলায় মেতেছেন ভ্লাদিমির পুতিন ও ডোনাল্ড ট্রাম্প।
পৃথিবীর নয়টি দেশের নয় হাজার মানুষের ওপর ইউগভ নামে একটি সংস্থার চালানো জরিপ বলছে, বেশির ভাগ সাধারণ মানুষ মনে করেন, পৃথিবীতে শান্তি প্রতিষ্ঠা হওয়া এখন অনেকটাই অসম্ভব।
এর মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রের মানুষ মনে করে, শিগগিরই বিশ্বযুদ্ধ শুরু হবে। অন্যদিকে ফ্রান্স, জার্মানি ও যুক্তরাজ্যের মানুষের বক্তব্যও ছিল হতাশাপূর্ণ।
৬৪ শতাংশ মার্কিনি মনে করেন, বিশ্ব একটি যুদ্ধের খুব কাছাকাছি দাঁড়িয়ে আছে। তবে ১৫ শতাংশ মনে করেন, বিশ্বে শান্তি বিরাজ করছে।
ব্রিটেনের নাগরিকরা তুলনামূলক বেশি আশাবাদী। এদের মধ্যে ১৯ শতাংশের মতো বিশ্বে শান্তি প্রতিষ্ঠা সম্ভব তবে ৬১ শতাংশই মনে করেন যুদ্ধ অবশ্যম্ভাবী।
অন্যদিকে যুদ্ধ অবশ্যম্ভাবী বলে মনে করেন না সুইডেন, ফিনল্যান্ড এবং নরওয়ের অধিবাসীরা। ডেনমার্কের মানুষ তো শান্তির বিষয়ে ভীষণ আশাবাদী। দেশটির ৩৯ শতাংশ মনে করেন শান্তি ফিরে আসবে, তবে ৪৫ শতাংশ মনে করছেন এত সহজে শান্তি প্রতিষ্ঠা সম্ভব নয়।
ইউগভের রাজনীতি ও সমাজবিষয়ক গবেষণা সংস্থার পরিচালক অ্যান্থনি ওয়েলস বলেন, ‘যুদ্ধ নিয়ে সবচেয়ে বেশি আতঙ্কের মধ্যে আছে যুক্তরাষ্ট্র ও ফ্রান্সের মানুষ। যদিও দুই দেশের মানুষের ভীতির কারণ ভিন্ন। যুক্তরাষ্ট্রের মানুষ ডোনাল্ড ট্রাম্পের ক্ষমতাকাল নিয়ে সংশয়ে আছেন। অন্যদিকে ফ্রান্সের মানুষ সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ নিয়ে ভীত।’
এই জরিপে দেখা গেছে, যুক্তরাষ্ট্র ও ফ্রান্সের মানুষ উভয়ই রাশিয়াকে প্রধান সামরিক হুমকি বলে মনে করছে। সেই সঙ্গে একই ধারণা পোষণ করে যুক্তরাজ্যের মানুষও।
এদিকে সন্ত্রাসী হামলা নিয়ে আতঙ্ক আছেন ফ্রান্সের মানুষ। এঁদের মধ্যে ৮১ শতাংশই যে কোনো সময় হামলার আশঙ্কা করছেন। তবে ১১ শতাংশ মনে করেন তা হবে না।