যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে পদত্যাগের হিড়িক
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট হিসেবে ডোনাল্ড ট্রাম্প দায়িত্ব নেওয়ার পর যেন দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে পদত্যাগের হিড়িক লেগেছে। ট্রাম্পের দায়িত্ব গ্রহণের প্রথম সপ্তাহেই দেশটির শীর্ষ কূটনীতিক ও জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তাদের অনেকেই পদত্যাগ করেছেন।
এই গণপদত্যাগ হবু পররাষ্ট্রমন্ত্রী রেক্স টিলারসনকে চাপে ফেলেছে। এখনো মার্কিন সিনেটে সাবেক এই ব্যবসায়ীর পদায়ন নিশ্চিত হয়নি। এরই মধ্যে এই গণপদত্যাগ তাঁকে আরো সমস্যায় ফেলবে বলে মনে করা হচ্ছে।
আগামী সপ্তাহেই যুক্তরাষ্ট্রের নতুন সরকারে গুরুত্বপূর্ণ পদে টিলারসনের পদায়নের সিদ্ধান্ত নেবে মার্কিন সিনেট।
বিবিসির খবরে জানানো হয়, মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের পদত্যাগের মিছিলে থাকা শীর্ষ কর্মকর্তাদের মধ্যে রয়েছেন প্রশাসনিক পদের আন্ডারসেক্রেটারি প্যাট্রিক কেনেডি, দুজন অ্যাসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি জয়েস বার ও মিশেল বন্ড। এ ছাড়া বৈদেশিক কূটনীতি বিভাগের পরিচালক জেন্ট্রি স্মিথও পদত্যাগপত্র জমা দিয়েছেন। এ ছাড়া আরো অনেক কর্মকর্তাই পদত্যাগপত্র জমা দিয়েছেন।
এর আগে ট্রাম্পের ক্ষমতা গ্রহণের দিনই পদত্যাগ করেছিলেন কূটনৈতিক বিভাগের সচিব (সেক্রেটারি অব স্টেট ফর ডিপ্লোম্যাসি) গ্রেগরি স্টার ও বৈদেশিক কূটনীতি বিভাগের (ডিরেক্টর অব ওভারসিজ বিল্ডিং অপারেশন) পরিচালক লিডিয়া মুনিজ।
ওয়াশিংটন পোস্টের খবরে জানানো হয়, টিলারসন দায়িত্ব নিলে তাঁর ডেপুটি (প্রধান সহকারী) হতেন প্যাট্রিক কেনেডিই। তিনি প্রেসিডেন্টের পালাবদলের সময়ও সক্রিয়ভাবেই দায়িত্ব পালন করেছিলেন। কিন্তু গত বুধবার হঠাৎই তিনি পদত্যাগপত্র জমা দেওয়ার পর অবাক অনেকেই।
আর একে একে প্রায় ৪৫ জন জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তার পদত্যাগে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তর এখন অনেকটাই ফাঁকা। এই ‘জটিল’ পদগুলোতে পদায়নও কঠিন হবে বলে মনে করছেন সাবেক মার্কিন পররাষ্ট্র সচিব ডেভিড ওয়েন।
ওয়াশিংটন পোস্টকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে ওয়েন জানান, মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের কর্মপরিচালনা পদ্ধতি অনেক জটিল। আর পদে পদায়ন ও নিয়োগ প্রক্রিয়াটিও অত্যন্ত জটিল। একসঙ্গে এত জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তার নজিরবিহীন পদত্যাগে এই দপ্তরের নিরাপত্তা, প্রশাসন, ব্যবস্থাপনা ও কনস্যুলার পদগুলোতে শূন্যতা তৈরি হবে বলেই আশঙ্কা করছেন তিনি।