কিমের সঙ্গে দেখা হলে সম্মানিতবোধ করবেন ট্রাম্প
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছেন, উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং উনের সঙ্গে তাঁর দেখা হলে তিনি সম্মানিতবোধ করবেন। গতকাল সোমবার সংবাদ সংস্থা ব্লুমবার্গকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে এ কথা বলেন তিনি।
ওই সাক্ষাৎকারে ট্রাম্প বলেন, যদি কখনো তার সঙ্গে দেখা করার মতো পরিস্থিতি তৈরি হয়, তবে আমি অবশ্যই দেখা করব।
এর আগে কিম জং-উনকে ‘বেশ স্মার্ট’ বলে সম্বোধন করেছিলেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প।
সংবাদমাধ্যম সিবিএসকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে এ কথা বলেন ট্রাম্প। তিনি বলেন, কিম শক্ত মানুষদের সঙ্গে বোঝাপড়া করেই তরুণ বয়সে ক্ষমতা পেয়েছেন।
সাক্ষাৎকারে ট্রাম্প প্রশ্ন করেন, কী যোগ্যতা তাঁকে উত্তর কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট বানাল? প্রশ্নের জবাব নিজেই দিয়েছেন ট্রাম্প। তিনি বলেন, ‘মানুষ জিজ্ঞেস করছে, তিনি কি পাগল? আমার কোনো ধারণা নেই। কিন্তু যখন তাঁর বাবা মারা যান, তখন তিনি ২৬-২৭ বছরের একজন তরুণ ছিলেন। তাঁকে অবশ্যই বেশ কঠোর মানুষ বিশেষ করে সেনাবাহিনীর জেনারেল ও অন্যদের সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলতে হয়েছিল।
এবং খুব ছোট বয়সে তিনি ক্ষমতা পেয়েছিলেন। আমি নিশ্চিত অনেক মানুষ তাঁর কাছ থেকে ক্ষমতা কেড়ে নিতে চেয়েছিল। এটা তাঁর চাচা বা যে কেউ হতে পারতেন। তারপরও তিনি সবকিছু সামলিয়ে নিয়েছেন। তিনি বেশ স্মার্ট ছেলে।’
এদিকে উত্তর কোরিয়ার একের পর এক ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা ও পরমাণু হামলার হুমকির জের ধরে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সম্পর্ক বেশ উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে। দুটি দেশেই শুরু হয়েছে অস্ত্র প্রদর্শনীর মহড়া।
এরই ধারাবাহিকতায় গত ২৫ এপ্রিল পারমাণবিক ক্ষেপণাস্ত্র নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের ডুবোজাহাজ ‘ইউএসএস মিশিগান’ দক্ষিণ কোরিয়ার জলসীমানায় ঢোকে। ডুবোজাহাজটি কোরীয় উপদ্বীপে অবস্থান করা মার্কিন বিমানবাহী রণতরী কার্ল ভিনসনের সঙ্গে যোগ দিতে যায়।
এর আগে গত ৮ এপ্রিল পশ্চিম প্রশান্ত মহাসাগরে কোরীয় উপদ্বীপের দিকে পাঠানো হয় যুক্তরাষ্ট্রের বিমানবাহী রণতরী ইউএসএস কার্ল ভিনসন। উত্তর কোরিয়ায় উসকানিমূলক ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষার জবাব দিতেই ওই যুদ্ধজাহাজ সেখানে যাচ্ছে বলে জানিয়েছিল যুক্তরাষ্ট্র।
যুক্তরাষ্ট্রের এই মহড়ার জবাবও দিয়েছিল উত্তর কোরিয়া। তারা দাবি করে মার্কিন রণতরী ইউএসএস কার্ল ভিনসনকে ডুবিয়ে দিতে একটি হামলায়ই যথেষ্ট। আর ওই হামলার মধ্য দিয়ে তাদের সামরিক মহড়া শুরু হবে। এ ছাড়া কোরিয়ার পক্ষে থেকে বলা হয়, তাদের ওপরে কোনো পরমাণু হামলা হলে তার জবাব পরমাণু হামলার মাধ্যমেই দেওয়া হবে।