‘মোস্ট ওয়ান্টেড’ তালিকায় রাম রহিমের পালক মেয়ে
দুই নারীভক্তকে ধর্ষণের দায়ে ২০ বছরের কারাদণ্ড ভোগ করতে শুরু করা ভারতের স্বঘোষিত ধর্মগুরু গুরমিত রাম রহিম সিংয়ের পালিত কন্যা হানিপ্রীত ইনসানকে হরিয়ানা রাজ্যের ৪৩ জনের ‘মোস্ট ওয়ান্টেড’ তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করেছে পুলিশ। তাঁর বিরুদ্ধে সহিংসতা ছড়ানোর অভিযোগ আনা হয়েছে।
গত ২৫ আগস্ট রোহতকে বাবা রাম রহিমের সঙ্গে দেখা করতে যান হানিপ্রীত। এরপর দৃশ্যত আর তাঁকে দেখা যায়নি। সে সময় তিনি বাবাকে পালাতে সাহায্য করার চেষ্টা করেছিলেন বলেও জানিয়েছে পুলিশ।
তবে উত্তর প্রদেশের লক্ষ্মীপুর খিরি জেলার গৌরী ফান্তা এলাকায় হানিপ্রীতকে দেখা গেছে উল্লেখ করে গ্রেপ্তার অভিযান চালায় পুলিশ। তবে খালি হাতেই ফেরে তারা। এ ছাড়া পুলিশ হানিপ্রীতের সন্ধানে বিভিন্ন ডেরা ও তাঁর আত্মীয়স্বজনের বাড়িতেও এরই মধ্যে তল্লাশি চালিয়ে ব্যর্থ হয়।
পুলিশের ধারণা, হানিপ্রীত নেপালে পালিয়ে যেতে পারেন। এ আশঙ্কায় বিভিন্ন সীমান্তে কড়া নজরদারি করছে পুলিশ।
হানিপ্রীত ছাড়াও রাম রহিমের ডেরা সাচ্চা সৌদা থেকে নিখোঁজ অনেককেই খুঁজছে পুলিশ। তাদের খুঁজে পেলে ডেরার অনেক রহস্যের সমাধান হবে বলে ধারণা করছে তারা।
২০১১ সালে প্রথম আলোচনায় আসেন এই হানিপ্রীত সিং। তাঁর স্বামী পাঞ্জাব ও হরিয়ানার আদালতে অভিযোগ করেন, রাম রহিম তাঁর স্ত্রীকে যৌন নির্যাতন করছেন। এ কারণে হানিপ্রীত তাঁকে ডিভোর্স দিয়েছেন। তবে এ ঘটনার পর রাম রহিমের ভয়ে ডেরা ত্যাগ করেন হানিপ্রীতের স্বামী। এর পর থেকেই বাবা রাম রহিমের ঘনিষ্ঠ হয়ে ওঠেন হানিপ্রীত।
১৯৯৯ সালে দুই নারীভক্তকে ধর্ষণের দায়ে ভারতের কেন্দ্রীয় তদন্ত ব্যুরোর বিশেষ আদালত (সিবিআই) গত ২৫ আগস্ট রাম রহিমকে দোষী সাব্যস্ত করেন। তাঁকে ২০ বছরের কারাদণ্ডাদেশ দেওয়া হয়। এর পর থেকে তিনি হরিয়ানার রোহতকের সোনারিয়া কারাগারে আছেন।