ইসরায়েল-হিজবুল্লাহ সংঘর্ষে তিনজন নিহত
লেবানন সীমান্তে ইসলামপন্থী সংগঠন হিজবুল্লাহ ও ইসরায়েলের সৈন্যদের মধ্যে সংঘর্ষে তিনজন নিহত হয়েছে। গতকাল বুধবার স্থানীয় সময় বেলা ১১টা ৩৫ মিনিটে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত ব্যক্তিদের দুজন ইসরায়েলি সেনা। অন্যজন লেবাননে নিযুক্ত জাতিসংঘের শান্তিরক্ষী বাহিনীর সদস্য। তিনি স্পেনের নাগরিক।
বার্তা সংস্থা রয়টার্সের খবরে বলা হয়, ২০০৬ সালে হিজবুল্লাহ-ইসরায়েল যুদ্ধের পর গতকালই দুই পক্ষের মধ্যে সবচেয়ে বড় সংঘর্ষ হলো। কাল ইসরায়েলের সামরিক বাহিনীর একটি সাঁজোয়া যানে হিজবুল্লাহর একটি ইউনিট পাঁচটি ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়ে। এতে ইসরায়েলের দুই সেনা নিহত হন। জবাবে ইসরায়েলি বিমান হামলা ও গোলার আঘাতে দক্ষিণ লেবাননে জাতিসংঘের ওই শান্তিরক্ষী নিহত হন।
হামলার পর হিজবুল্লাহ এক বিবৃতিতে বলেছে, ১৮ জানুয়ারি সিরিয়ার দক্ষিণাঞ্চলে ইসরায়েলি হামলায় সংগঠনটির ছয় সদস্য নিহত হওয়ার জবাবে গতকালের হামলাটি করা হয়েছে। ওই হামলায় ইরানের বিপ্লবী গার্ডের এক সদস্যও নিহত হয়েছিলেন।
গতকালের হামলার পর নিরাপত্তা কর্মকর্তাদের নিয়ে একটি জরুরি বৈঠকে বসেছিলেন ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু। টেলিভিশনে প্রচারিত এক ভাষণে তিনি বলেন, ‘হামলায় জড়িত ব্যক্তিদের চড়া মূল্য দিতে হবে।’
বিবিসির এক খবরে বলা হয়, গতকালের হামলায় সাত ইসরায়েলি সেনা আহত হয়েছেন । ইসরায়েল অধিকৃত গোলান উপত্যকার সীমান্তবর্তী সেবা খামার এলাকা থেকে ক্ষেপণাস্ত্রগুলো ছোড়া হয়।
হামলার পর নিউ ইয়র্কে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের এক জরুরি বৈঠক ডাকে ফ্রান্স। এতে সংঘর্ষের ঘটনায় করণীয় বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়।
লেবাননে নিযুক্ত জাতিসংঘের একজন জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা সব পক্ষকে সংযত থাকতে আহ্বান জানিয়েছেন।