কলকাতায় পালিত হলো জাতীয় শোক দিবস
পশ্চিমবঙ্গের রাজধানী কলকাতায় অবস্থিত বাংলাদেশ উপ-দূতাবাসে যথাযোগ্য মর্যাদায় পালিত হলো বাংলাদেশের জাতীয় শোক দিবস। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪০তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে এদিনের জাতীয় শোক দিবসে কলকাতায় অবস্থিত বাংলাদেশ উপদূতাবাসে জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত রাখা হয়। শনিবার সকাল ৭টায় বাংলাদেশের জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত রাখার পাশাপাশি শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করা হয় জাতির জনকের প্রতি।
বাংলাদেশের জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী, পররাষ্ট্রমন্ত্রী এবং পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীর বাণী পাঠ করা হয়। এরপর জাতীয় শোক দিবসের তাৎপর্য তুলে ধরে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ উপদূতাবাসের উপহাইকমিশনার জকি আহাদ। তিনি বলেন, আজ থেকে ৪০ বছর আগে ১৯৭৫ সালের এই দিনে আমরা বঙ্গবন্ধুকে হারিয়েছি। তাঁর আঙুলের ইশারাতেই মুক্তির সংগ্রামে ঝাঁপিয়ে পড়েছিল সমগ্র বাঙালি। কিন্তু বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পর ১৯৭৫ সালে ঘাতকের হাতে শহীদ হন বঙ্গবন্ধু। আজ বাংলাদেশ বিশ্বের মানচিত্রে জায়গা করে নিয়েছে। সমগ্র পৃথিবী দেখছে বঙ্গবন্ধুকন্যা তথা বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ এগিয়ে চলেছে। আগামী ২০২১ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে মধ্যম আয়ের দেশ হিসেবে গড়ে তুলতে আমরা সবাই প্রতিজ্ঞাবদ্ধ।
উপহাইকমিশনারের বক্তব্য শেষে জাতির জনক ও তাঁর মৃত পরিবারের সদস্যদের আত্মার প্রতি শান্তি কামনা করে মোনাজাত করা হয়। এরপর সকাল ৮টায় কলকাতার স্মিথ লেনে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্মৃতিবিজড়িত ইসলামিয়া কলেজের (বর্তমানে মওলানা আজাদ কলেজ নামে পরিচিত) সরকারি বেকার হোস্টেলে বঙ্গবন্ধু স্মৃতিকক্ষে স্থাপিত বঙ্গবন্ধুর আবক্ষমূর্তিতে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ করা হয়। এদিনের অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন উপহাইকমিশনার জকি আহাদ, বাংলাদেশ উপদূতাবাসের প্রেস সচিব মোফাকখারুল ইকবালসহ বিশিষ্টজনেরা।
বাংলাদেশের জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে আগামী ১৭ আগস্ট বিকেল ৩টায় কলকাতায় অবস্থিত বাংলাদেশ উপদূতাবাসের আয়োজনে কলকাতার যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের কে পি বসু মিলনায়তনে ‘বঙ্গবন্ধুর জীবন ও কর্ম’ শীর্ষক এক সেমিনার অনুষ্ঠিত হবে।