কিমের সঙ্গে বৈঠক সফল হয়েছে : ট্রাম্প
উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং উনের সঙ্গে বৈঠককে সফল হিসেবে উল্লেখ করে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এক টুইট বার্তায় কোরীয় উপদ্বীপে শান্তির কথা পুনর্ব্যক্ত করেছেন।
গতকাল মঙ্গলবার সিঙ্গাপুরের একটি দ্বীপে চির বৈরী এ দুই দেশের নেতা ঐতিহাসিক বৈঠকে মিলিত হন। তাঁরা কোরীয় উপদ্বীপকে সম্পূর্ণভাবে পারমাণবিক অস্ত্রমুক্ত করতে একটি যৌথ ঘোষণায় স্বাক্ষর করেন।
যদিও কোরীয় অঞ্চলে মার্কিন সামরিক মহড়া বন্ধে ট্রাম্পের প্রতিশ্রুতির পরও সেদিনই মার্কিন ভাইস প্রেসিডেন্ট মাইক পেন্স সিনেটে বলেছেন, দক্ষিণ কোরিয়ার সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্র যৌথ মহড়া অব্যাহত রাখবে। আর পেন্সের এ বক্তব্য ট্রাম্পের ব্ক্তব্যের সঙ্গে সাংঘর্ষিক বলা হচ্ছে।
এদিকে, উত্তর কোরিয়া পরমাণু কর্মসূচি বন্ধ করতে সম্মত হওয়ার পরও দেশটির ওপর আরোপিত মার্কিন ও আন্তর্জাতিক অবরোধ প্রত্যাহার করার বিষয়ে কোনো আলোচনা না হওয়া নিয়ে সমালোচনা করে প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে রুশ গণমাধ্যম আরটি।
যদিও মঙ্গলবারই নিউইয়র্কে এক সংবাদ সম্মেলনে জাতিসংঘের মুখপাত্র স্টিফেনে ডুজারিফ ট্রাম্প ও কিমের বৈঠকের পর যৌথ ঘোষণাকে টেকসই শান্তি আলোচনার গুরুত্বপূর্ণ সূচনা হিসেবে অ্যাখ্যা দিয়েছেন।
জাতিসংঘের মুখপাত্র স্টিফেনে ডুজারিফ বলেছেন, ট্রাম্প-কিমের চুক্তির ভিত্তিতে নিরাপত্তা কাউন্সিল ব্যবস্থা নেবে বলে আশা করে জাতিসংঘ। বিশ্ব সম্প্রদায়কে এ বিষয়ে সহযোগিতা করার আহ্বান জানিয়েছেন জাতিসংঘ মহাসচিব।
অন্যদিকে, ফ্রান্সের স্ট্রসবুর্গে ইউরোপীয় ইউনিয়নের প্লেনারি সেশনে দেওয়া বক্তব্যে ইইউর বৈদেশিক নীতিবিষয়ক প্রধান ফেদেরিকা মোগেরিনি বলেন, ট্রাম্প-কিমের ঐতিহাসিক বৈঠক একটি কূটনীতি হলেও এটি শান্তি অর্জনের একমাত্র পথ।
ইইউর বৈদেশিক নীতিবিষয়ক প্রধান মনে করেন, ট্রাম্প-কিমের বৈঠক ও যৌথ ঘোষণাই প্রমাণ করল, আলোচনার মাধ্যমে সংকট সমাধান সম্ভব। তাই ইরানের সঙ্গে পরমাণু চুক্তি ও মধ্যপ্রাচ্যের শান্তির বিষয়টিকে এবার অগ্রাধিকার দিতে হবে।
ডোনাল্ড ট্রাম্প ও কিম জং উন নতুনভাবে দুই দেশের সম্পর্ক উন্নয়নে কাজ করতে সম্মত হয়েছেন বলেও জানা যায়।