মিনায় পদদলিত হয়ে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৭৬৯
সৌদি আরবে হজ পালনের সময় মিনায় পদদলিত হয়ে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৭৬৯ জনে দাঁড়িয়েছে। সৌদি আরবের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় এ তথ্য জানিয়েছে। এদিকে ইরান দাবি করেছে, নিহতের সংখ্যা কমপক্ষে দুই হাজার।
সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা জানিয়েছে, আজ শনিবার এ তথ্য জানিয়ে এক সংবাদ সম্মেলন করেছে সৌদি আরবের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। সংবাদ সম্মেলনে স্বাস্থ্যমন্ত্রী খালিদ আল-ফালি জানিয়েছেন, এ দুর্ঘটনায় আহতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৯৩৪ জনে।
ইরানের হজ ও হজযাত্রা বিষয়ক প্রতিষ্ঠানের প্রধান সাঈদ ওহাদি গতকাল শুক্রবার সৌদি আরবের বিভিন্ন সূত্রের বরাত দিয়ে বলেছেন, সৌদি আরবের কর্মকর্তাদের ঘোষণা অনুযায়ী মিনায় দুর্ঘটনায় কমপক্ষে দুই হাজার হাজি নিহত হয়েছেন। ওহাদি আরো বলেন, ‘মিনায় এই মর্মান্তিক দুর্ঘটনার পিছনে প্রধান কারণগুলো হলো সৌদি কর্তৃপক্ষের অদূরদর্শিতা, দায়িত্বজ্ঞানহীনতা এবং অব্যবস্থাপনা।’ তিনি অভিযোগ করে বলেন, ‘গত বৃহস্পতিবার বিকেলে সৌদি সেনাবাহিনী সব স্বাস্থ্য কেন্দ্রগুলোর প্রবেশ পথ বন্ধ করে রেখেছিল।’
এ দুর্ঘটনার জন্য সৌদি বাদশাহর ছেলেকে দায়ী করেছে আরব ও ইরানের একাধিক গণমাধ্যম। বলা হচ্ছে, নিয়ম ভঙ্গ করে সেনা ও পুলিশ সদস্যসহ বিশালসংখ্যক নিরাপত্তাকর্মী নিয়ে হজের রীতি পালন করেন বাদশাহপুত্র মোহাম্মদ বিন সালমান আল-সউদ। আর এতেই বিশৃঙ্খলার সৃষ্টি হয়। প্রাণ হারান হজ করতে আসা সাধারণ মানুষ।
কিন্তু সৌদি আরবের জ্যেষ্ঠ ধর্মীয় নেতা শেখ আবদুল আজিজ এ ঘটনার জন্য সৌদি সরকার দায়ী নয় বলে জানিয়েছেন।
গত বৃহস্পতিবার স্থানীয় সময় বেলা সাড়ে ১১টার দিকে এ দুর্ঘটনা ঘটে। মুজদালিফা থেকে শয়তানের উদ্দেশে পাথর নিক্ষেপের জন্য মুসল্লিরা মিনায় যাচ্ছিলেন। এ সময় পদদলিত হয়ে হতাহতের ঘটনা ঘটে। জায়গাটি মক্কা থেকে প্রায় পাঁচ কিলোমিটার দূরে। এ ঘটনায় আহতদের স্থানীয় মিনা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। প্রায় চার হাজার উদ্ধারকর্মী ও ২৫০টি অ্যাম্বুলেন্স আহতদের উদ্ধারে নিয়োজিত করা হয়।
বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে ২০ লাখেরও বেশি মানুষ মক্কায় হজ পালন করতে গেছেন। বিবিসি জানিয়েছে, শয়তানের উদ্দেশে পাথর মারার রীতি পালনের সময় পদদলনের ঘটনা ঘটে।