নেপালের প্রথম নারী প্রেসিডেন্ট বিদ্যা দেবী ভাণ্ডারি
নেপালের প্রথম নারী প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হয়েছেন দেশটির কমিউনিস্ট পার্টির (সংযুক্ত) ভাইস চেয়ারপারসন বিদ্যা দেবী ভাণ্ডারি। তিনি হলেন দেশটির দ্বিতীয় প্রেসিডেন্ট। আজ বুধবার নেপালের পার্লামেন্টে এক ভোটে অন্য প্রার্থীর চেয়ে ১০০-এর বেশি ভোট পেয়ে তিনি নির্বাচিত হন। এর আগে বিদ্যা নেপালের প্রতিরক্ষামন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন।
সংবাদমাধ্যম নিউ নেশন জানিয়েছে, আজ বুধবার নেপালের পার্লামেন্টে ভোট অনুষ্ঠিত হয়। প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হওয়ার জন্য প্রয়োজন ছিল ২৯৯ ভোট। সেখানে বিদ্যা দেবী ভাণ্ডারি ৩২৭টি, যা প্রয়োজনের চেয়ে ২৮টি বেশি। আর তাঁর প্রতিদ্বন্দ্বী ‘নেপালি কংগ্রেস’-এর নেতা কুল বাহারদুর গুরাঙ্গ পেয়েছেন ২১৪ ভোট।
নেপালের সংবাদমাধ্যম হিমালয়ান টাইমস জানিয়েছে, প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে মোট ভোট দিয়েছেন ৫৪৯ জন। ৪৭ জন ভোট দেওয়া থেকে বিরত ছিলেন। আর অনুপস্থিত ছিলেন। ভাণ্ডারিকে নিজের দলসহ ১৪টি রাজনৈতিক দল সমর্থন দিয়েছে।
নেপালের পার্লামেন্টের স্পিকার অনসারি ঘারতি বিদ্যা দেবী ভাণ্ডারিকে প্রেসিডেন্ট হিসেবে ঘোষণা করেন।
বিদ্যা দেবী ভাণ্ডারি হলেন নেপালের দ্বিতীয় প্রেসিডেন্ট। ২০০৮ সালে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার পর নেপালের প্রথম প্রেসিডেন্ট হন রাম বারান যাদব। তাঁরই স্থলাভিষিক্ত হবেন বিদ্যা। নেপালের সংবিধান অনুযায়ী পার্লামেন্ট শুরু হওয়ার এক মাসের মধ্যে প্রেসিডেন্ট নির্বাচন করতে হয়।
৫৪ বছর বয়স্ক বিদ্যা দেবী ভাণ্ডারি নেপালের কমিউনিস্ট পার্টির সাবেক সাধারণ সম্পাদক মদন ভাণ্ডারির স্ত্রী। নেপালে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠায় জোর ভূমিকা পালনকারী হিসেবে পরিচিত মদন ভাণ্ডারি ১৯৯৩ সালে মারা যান। সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত হলেও তাঁর মৃত্যু নিয়ে এখনো রহস্য রয়েই গেছে।