১৫ ডিসেম্বরের আগেই নূর হোসেনকে ফেরত!
আদালতের নির্দেশ অনুযায়ী আগামী ১৫ ডিসেম্বরের মধ্যে নারায়ণগঞ্জে সাত খুন মামলার অন্যতম আসামি নূর হোসেনকে বাংলাদেশের হাতে তুলে দেবে ভারত। আজ বুধবার এনটিভি অনলাইনকে এ কথা জানিয়েছেন পশ্চিমবঙ্গের উত্তর ২৪ পরগনা জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার তরুণ হালদার।
এর আগে আজই উলফা নেতা অনুপ চেটিয়াকে ভারতের হাতে তুলে দেয় বাংলাদেশ।
গত ১৬ অক্টোবর পশ্চিমবঙ্গের বারাসত আদালত নূর হোসেনকে বাংলাদেশের হাতে প্রত্যর্পণের নির্দেশ দেন। বর্তমানে দমদম কেন্দ্রীয় কারাগারে রাখা হয়েছে নূর হোসেনকে। সম্প্রতি আদালতের রায় নূর হোসেনকে পড়ে শোনানো হয়। কারা সূত্রে জানা যায়, বাংলাদেশে প্রত্যর্পণের কথা শুনে নির্লিপ্ত ছিলেন নূর হোসেন।
নূর হোসেনকে বাংলাদেশের হাতে প্রত্যর্পণ প্রসঙ্গে বিধাননগর কমিশনারেটের গোয়েন্দা প্রধান কঙ্কর প্রসাদ বারুই গত সেপ্টেম্বরে দুর্গাপূজার আগেই জানিয়েছিলেন, নূর হোসেনকে বাংলাদেশের হাতে তুলে দেওয়ার ব্যাপারে প্রশাসনিক প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। পূজা শেষ হলেই যেকোনো দিন নূর হোসেনকে বাংলাদেশের হাতে প্রত্যর্পণ করা হবে। তবে আজ দীপাবলির ছুটি থাকার কারণে কঙ্কর প্রসাদের সঙ্গে যোগাযোগ করা যায়নি।
নূর হোসেনের আইনজীবী অনুপ ঘোষ জানান, বারাসত আদালত নূর হোসেনকে বাংলাদেশের হাতে প্রত্যর্পণ করার নির্দেশ দেওয়ার পর থেকে নূর বা তাঁর স্বজনরা কেউই আর তাঁর সঙ্গে কোনো রকম যোগাযোগ রাখেনি। তিনি আরো জানান, আদালতের রায় অনুযায়ী নূর হোসেনকে আগামী ১৫ ডিসেম্বরের মধ্যে বাংলাদেশের হাতে প্রত্যর্পণ করতে হবে। আর নূর হোসেনকে বাংলাদেশের হাতে প্রত্যর্পণ করা হলো কি হলো না তার প্রতিবেদন আদালতে পেশ করতে হবে।
এদিকে আজ বুধবার উলফা নেতা অনুপ চেটিয়াকে বাংলাদেশ সরকার ভারতের হাতে তুলে দেওয়ার পর নূর হোসেনকে বাংলাদেশের হাতে কবে তুলে দেওয়া হবে সেই প্রশ্ন উঠতে আরম্ভ করেছে। এরই মধ্যে নূর হোসেনকে ভারতে অনুপ্রবেশের অভিযোগ থেকে অব্যাহতি দিয়েছেন পশ্চিমবঙ্গের বারাসত আদালত।
গত ১৬ অক্টোবর বারাসত আদালতে ওই রায় ঘোষণার সময় শারীরিক অসুস্থতার কারণে আদালতে হাজির ছিলেন না নূর হোসেন। রায় ঘোষণার পরই দুর্গাপূজার ছুটি পড়ে যায়। তারপর থেকে কার্যত চলছে ছুটির আবহ। লক্ষ্মীপূজা, কালীপূজা, দীপাবলি, ভাইফোঁটা উৎসব শেষ করে আগামী সপ্তাহ থেকে পুরোদমে চালু হতে চলেছে প্রশাসনিক কার্যক্রম। এই উৎসবের আবহ মিটে গেলে আগামী সপ্তাহ থেকে নূর হোসেনের প্রত্যর্পণের বিষয়টি গতি পাবে বলেই মনে করছে প্রশাসনিক মহল।