বিএনপি নেতা সালাহ উদ্দিনকে দিল্লিতে চিকিৎসার অনুমতি
ভারতে আটক বিএনপি নেতা সালাহ উদ্দিন আহমেদকে উন্নত চিকিৎসার জন্য দেশটির রাজধানী নয়াদিল্লিতে নিতে আদালত অনুমতি দিয়েছেন বলে জানিয়েছে মেঘালয়ের রাজ্য পুলিশ।
ভারতের মেঘালয় রাজ্যের শিলং শহরে দীর্ঘদিন ধরে জামিনে মুক্তি পেয়ে অবস্থান করছেন বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব সালাহ উদ্দিন আহমেদ। ভারতে আটকের পরের দিন থেকেই চিকিৎসাধীন আছেন তিনি। কিডনির জটিলতা, হৃদরোগসহ নানা রোগে আক্রান্ত তিনি।
উন্নত চিকিৎসার জন্য দিল্লির এইমস হাসপাতালে যাওয়ার জন্য সালাহ উদ্দিন আহমদ তাঁর আইনজীবীর মাধ্যমে শিলংয়ের আদালতে আবেদন করেছিলেন।
শিলংয়ের সার্দার পুলিশ স্টেশনের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মিস্টার প্রসাদ আজ বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় টেলিফোনে এই প্রতিবেদকে বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, ‘গত দিন তিনেক আগে শিলং আদালত সালাহ উদ্দিন আহমেদকে দিল্লির এইমস হাসপাতালে নিয়ে চিকিৎসা করানোর আবেদন মঞ্জুর করেছেন।’
এ ব্যাপারে সালাহ উদ্দিন আহমেদের আইনজীবী এস পি মহন্তর সঙ্গে টেলিফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, ‘সালাহ উদ্দিন আহমেদকে দিল্লির এইমস হাসপাতালে নিয়ে চিকিৎসা করানোর জন্য আদালতের কাছে আবেদন করা হয়েছিল। তবে দিল্লির কোথায় তাঁর চিকিৎসা করানো হবে তা বিস্তারিতভাবে আদালতকে জানাতে হবে।’
এর বেশি আর কিছু বলতে রাজি হননি আইনজীবী এস পি মহন্ত।
তবে একটি সূত্র জানিয়েছে, আদালতের নির্দেশ মেনে আইনি প্রক্রিয়া শেষে খুব দ্রুতই সালাহ উদ্দিন আহমেদ দিল্লির উদ্দেশে রওনা হবেন।
গত বছরের ১১ মে ভারতের মেঘালয় রাজ্যের শিলং শহরের গলফ লিংক এলাকা থেকে অনুপ্রবেশের দায়ে আটক করা হয় সালাহউদ্দিন আহমেদকে। তার আগে গত বছরের ১০ মার্চ বাংলাদেশের ঢাকার উত্তরার বাসা থেকে নিখোঁজ হন বিএনপির এই নেতা। যদিও পরিবারের দাবি, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পরিচয়ে তাঁকে ধরে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল।
শিলংয়ে আটক হওয়ার পর সালাহ উদ্দিন আহমেদ দাবি করেন, ‘আমাকে চোখ বন্ধ করে কে বা কারা ফেলে দিয়ে গেছে।’
পরে শিলং পুলিশ অবৈধ অনুপ্রবেশের অভিযোগে সালাহউদ্দিন আহমেদের বিরুদ্ধে মামলা করে। অসুস্থতার কারণ দেখিয়ে জামিন চান সালাহ উদ্দিন আহমেদ। বেশ কয়েক দফা শুনানি শেষে আদালত শর্তসাপেক্ষে তাঁকে জামিনে মুক্তি দেন।
আদালতের শর্ত অনুযায়ী, শিলং শহর ছেড়ে কোথাও যেতে পারবেন না সালাহ উদ্দিন আহমেদ। এ কারণে চিকিৎসার জন্য সালাহ উদ্দিনের পরিবার তাঁকে সিঙ্গাপুরে নিয়ে যেতে চাইলেও অনুমতি মেলেনি। ভারতীয় বিদেশি নাগরিক আইনে তাঁর বিরুদ্ধে শিলং আদালতে মামলা চলছে।