ওবামা-হিলারি একান্ত বৈঠক
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামার সঙ্গে একান্ত বৈঠক করেছেন দেশটির সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিলারি ক্লিনটন। স্থানীয় সময় সোমবার প্রেসিডেন্টের বাসভবন ও প্রধান কার্যালয় হোয়াইট হাউসে ঘণ্টাব্যাপী বৈঠকটি অনুষ্ঠিত হয়।
হোয়াইট হাউসের মুখপাত্র জো আর্নেস্ট সংবাদমাধ্যমে ই-মেইলে বৈঠকের বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
আর্নেস্টের বরাত দিয়ে রয়টার্সের খবরে বলা হয়, ঘণ্টাব্যাপী বৈঠকে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে আলোচনা করেন ওবামা ও হিলারি। তবে কী বিষয়ে আলোচনা হয়েছে, তা জানা যায়নি।
যুক্তরাষ্ট্রে ২০১৬ সালে অনুষ্ঠেয় প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ডেমোক্রেটদের ভাবী প্রার্থী মনে করা হচ্ছে হিলারি ক্লিনটনকে। কিছুদিনের মধ্যে তাঁর নির্বাচনী প্রচারে নামারও কথা আছে। কিন্তু এ সময়ে এসে ই-মেইল বিতর্ক তাঁর প্রেসিডেন্ট প্রার্থিতার গ্রহণযোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী থাকাকালে নিউইয়র্ক এলাকার নিজ বাসভবনে থাকা সার্ভার থেকে ব্যক্তিগত ই-মেইল ব্যবহার করেছেন হিলারি। রাষ্ট্রের সর্বোচ্চ কূটনীতিক হিসেবে তিনি এটা করতে পারেন না বলে নিন্দা করেছেন সমালোচকরা।
তাঁদের মতে, ক্ষমতায় থাকাকালে ব্যক্তিগত ই-মেইল ব্যবহার করে গুরুত্বপূর্ণ বিভিন্ন বিষয় গোপন করেছেন হিলারি। এর মাধ্যমে ওই সময়ে তাঁর ব্যবহৃত চিঠিগুলোকে নিরাপত্তা ঝুঁকিতে ফেলেছিলেন তিনি।
নিজ ই-মেইল বার্তার ওপর নজরদারি নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক এই পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘আমি চাই, লোকজন আমার ই-মেইল দেখুক। আমি স্টেটকে (স্টেট ডিপার্টমেন্ট) এগুলো প্রকাশ করতে বলেছি। তারা বলেছে, প্রকাশের জন্য খুব শিগগির এগুলো পর্যালোচনা করে দেখা হবে।’
নিউইয়র্ক টাইমসে প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে বলা হয়, সরকারি কাজে ব্যক্তিগত ই-মেইল অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করেছেন হিলারি। যুক্তরাষ্ট্রের তথ্য স্বাধীনতা আইনের মাধ্যমে কেউ যেন তাঁর ই-মেইল বার্তাগুলোকে নিয়ে তদন্ত না করতে পারে, সে জন্য তিনি অ্যাকাউন্টটি খুলেছিলেন। এতে বলা হয়, ক্লিনটন মেইল ডটকম নামে হিলারির ওই অ্যাকাউন্টটি তাঁর বাড়িতে একটি সার্ভার থেকে হোস্টিং নেওয়া হয়।
দুই মাস আগে সরকারের অনুরোধে হিলারির উপদেষ্টারা স্টেট ডিপার্টমেন্টকে তাঁর ব্যবহৃত ই-মেইলের ৫০ হাজার পাতা সরবরাহ করেছেন।
চলতি মাসে বা পরবর্তী মাসে হিলারির প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের প্রচারণায় নামার কথা ছিল। বিশ্লেষকদের ধারণা, এই ই-মেইল বিতর্ক প্রেসিডেন্ট প্রার্থী হিসেবে হিলারির গ্রহণযোগ্যতা কমাবে।