নাজিম হত্যায় যুক্তরাষ্ট্রের তীব্র নিন্দা
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের ছাত্র নাজিমুদ্দিন সামাদ হত্যার ঘটনায় তীব্র নিন্দা জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। স্থানীয় সময় গতকাল বৃহস্পতিবার দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের উপমুখপাত্র মার্ক সি টোনার এ নিন্দার কথা জানান।
যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটন ডিসিতে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের নিয়মিত ব্রিফিংয়ের শুরুতেই বাংলাদেশে নাজিম হত্যাকাণ্ডের প্রসঙ্গে উঠে আসে।
টোনার বলেন, ‘ব্রিফিংয়ের শুরুতেই গুরুত্বপূর্ণ একটি ইস্যু নিয়ে কথা বলব। আইনের ছাত্র নাজিমুদ্দিন সামাদের হত্যার তীব্র নিন্দা জানাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র। আপাতদৃষ্টিতে মনে হচ্ছে, বাংলাদেশে সহিংস জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে কথা বলার জন্য তাঁকে হত্যা করা হয়েছে। এবং সামাদের পরিবারের প্রতি সমবেদনা থাকল ও জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে লড়াইরত বাংলাদেশের জনগণের প্রতি দৃঢ় সমর্থন জানাচ্ছি। নাজিমুদ্দিন জানতেন এবং বাংলাদেশের ইতিহাসও দেখিয়েছে যে, সহিংসতা বাংলাদেশের মুক্ত ও স্বাধীন প্রতর্ককে (ডিসকোর্স) পরাজিত করতে পারবে না। নির্মম হত্যাকাণ্ড প্রত্যাখ্যান করা বাংলাদেশি জনগণের পাশে আমরা আছি এবং বাকস্বাধীনতা রক্ষায় একটি সহনশীল ও অংশগ্রহণমূলক সমাজে আমাদের সমর্থন আছে। সন্ত্রাসবাদ, সহিংস জঙ্গিবাদবিরোধী লড়াইয়ে এবং এ ধরনের কর্মকাণ্ডে জড়িতদের বিচারের আওতায় আনতে বাংলাদেশকে অব্যাহত সমর্থন জানাবে যুক্তরাষ্ট্র।’
গত বুধবার সূত্রাপুরের একরামপুর মোড়ে নাজিমুদ্দিন সামাদকে (২৬) ধারালো অস্ত্র দিয়ে কোপানোর পর মাথায় গুলি করে হত্যা করে দুর্বৃত্তরা। পরে সূত্রাপুর থানার এসআই নুরুল ইসলাম লাশ উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যান। এ ঘটনায় সূত্রাপুর থানায় মামলা করে পুলিশ। মামলাটি তদন্ত করছেন পরিদর্শক (তদন্ত) সমীর কুমার সূত্রধর।